অনেকের মতেই করোনা হলে আর করোনা না হওয়ার সম্ভাবনা এবং মজবুত রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে এমন একটা ধারনা ছিলো। কিন্তু এসব বাতলে বিজ্ঞানীরা জানালেন একবার রোগ হলেই যে তা শরীরে করোনার রোধী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে দেবে তেমনটা কিন্তু নয় সারাজীবনের জন্য ইমিউনিটি তৈরি হওয়া সম্ভব নয়। করোনার মাঝেই প্রতিদিনই এক একটা নতুন গবেষণা প্রকাশ্যে আসছে।
১৯৮০ সাল থেকে ৫১৩ জন সুস্থ মানুষের শরীরের লালা পরীক্ষা করে মিলেছে তাঁদের শরীরে করোনা ভাইরাস গোত্রের একাধিক স্পাইক প্রোটিন রয়েছে। জানানো হয়েছে যাঁদের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে, তাঁদের সর্বোচ্চ ছ’মাস বাদেও উপসর্গ দেখা দিচ্ছে।
তারপর আবার ১ বছর বাদে ফের ফিরে আসছে উপসর্গ। করোনা সংক্রমণের সর্বোচ্চ পর্যায় সেপ্টেম্বরেই পেরিয়ে এসেছে ভারত৷ ভারতে আগের তুলনায় কমেছে করোনার হার আর সেই দিককেই আশার আলো হিসেবে দেখছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক৷ গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪,৪৪২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯০৩ জনের। দেশে মৃত্যুর হার ১.৫৫ শতাংশ। তবে আগের থেকে সুস্থতার হার বেড়েছে। কিন্তু করোনা থাবা কমানো সম্ভব হয়নি। কারন আনলকে প্রচুর মানুষ আবার বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
সারা দেশে এখনও পর্যন্ত ৫৪.৮৬ লক্ষের মতো সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যেখানে ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭৬,৭৩৭ জন। করোনার মাঝে এটাই আশার খবর সারা দেশে সুস্থতার হার ৮৪.৩৪%। জানা গিয়েছে করোনার অ্যান্টিবডি শরীরে তৈরি হলেও সেটা দীর্ঘদিন কার্যকর থাকছে না নির্দিষ্ট সময়ের পর সেটিও কেটে যাচ্ছে।