করোনা সংক্রমণের মাত্রা যেভাবে বাড়ছে, এই সংক্রমণের গতি এখন ভাবাচ্ছে বিজ্ঞানীদের। তবে আশার আলো দেখছে হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক।এই সংস্থা তৈরি করেছে করোনার টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) ওই টিকা মানবদেহের উপর পরীক্ষা বা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর জন্য সংস্থাটিকে অনুমতি দিয়েছে। আর ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি (এনআইভি) ওই টিকা তৈরির ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে।
ভারতের এই করোনার টিকা আবিষ্কারের ক্ষেত্রে কয়েক ধাপ এগিয়েছে বলে মনে করছে ভারত বায়োটেক সংস্থা। এর পরের ধাপ হল হার্ডল ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। আর এর জন্য এই সংস্থাকে অনুমোদন দিয়েছে ডিসিজিআই। এই সংস্তাহার ম্যানিজিং ডিরেক্টর কৃষ্ণা এলা বলেছেন যে এই টিকা তৈরী করার জন্য এই সংস্থা অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছে। অনেক পরিশ্রম করা হচ্ছে। এই প্রথম করোনার টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর জন্য প্রথম কোনও সংস্থাকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগেও ভারত বায়োটেক পোলিও, র্যাবিস, রোটাভাইরাস, জাপানি এনসেফেলাইটিস, চিকনগুনিয়া, জিকা-র মতো রোগের টিকা তৈরির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। এবারের ক্ষেত্রেও তারা ১০০ শতাংশ সফল হবেন বলে মনে করছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে জুলাই মাস থেকেই সারা দেশে শুরু হবে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল।