করোনা আবহে গোটা বিশ্ব ছেয়ে গিয়েছে। এবার করোনা ভাইরাস থেকে রোগীদের সুস্থ করে তুলতে করোনার ওষুধ ‘রেমডেসিভির’-এর দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি ওষুধ ‘কোভিফর’ বাজারে এল। ওষুধটির প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘হেটেরো’ হায়দ্রাবাদে অবস্থিত হওয়ার ফলে সেই রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া দেশের মহারাষ্ট্র, দিল্লি-সহ আরও পাঁচটি রাজ্যে পাঠানো হয়েছে এই ওষুধ। ‘হেটেরো’-এর বিশেষ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দেশের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা সহ ইন্দোর, ভোপাল, লখনউ, পটনা, ভূবনেশ্বর, রাঁচী, বিজয়ওয়াড়া, কোচি, ত্রিবান্দ্রাম ও গোয়ার মতো ১১টি শহরে এই ওষুধ পাঠানো হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, করোনা আক্রান্ত শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের এই ওষুধ প্রথম দিন খাওয়াতে হবে ২০০ মিলিগ্রাম অর্থাৎ ২ শিশি। দ্বিতীয় দিন থেকে শুরু করে পরপর পাঁচ দিন ১০০ মিলিগ্রাম অর্থাৎ ১ শিশি করে খাওয়াতে হবে। অর্থাৎ ৬ দিনে মোট ৭০০ মিলিগ্রাম কোভিফর খাওয়াতে হবে। মোট ৬ দিনে করোনা রোগীর ৭০০ মিলিগ্রাম ওষুধের খরচ পড়বে ৩৭,৮০০ টাকা। প্রথম দফায় মহারাষ্ট্র ও রাজধানী দিল্লি ছাড়াও কোভিফর পাটানো হয়েছে তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু ও গুজরাটে।
‘হেটেরো’-এর তরফে জানান হয়েছে, এক শিশি অর্থাৎ ১০০ মিলিগ্রাম কোভিফরের দাম পড়বে ৫,৪০০ টাকা। ‘হেটেরো’ সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ভামসি কৃষ্ণ বান্দি জানিয়েছেন, করোনার এই ওষুধটি মিলবে শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতাল ও সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলিতেই। বাজারে খুচরো বিক্রয় হিসেবে এই ওষুধ পাওয়া যাবে না। হেটেরোর লক্ষ্য আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে ১ লক্ষ শিশি উৎপাদন করতে পারবে তাঁরা।