নিউজপলিটিক্সরাজ্য

১২০-১৩০ আসনের দাবি প্রদেশ কংগ্রেসের, ক্ষুব্ধ বামেরা, কাটেনি জোটের জট

এখনও কাটেনি জট, ক্ষুব্ধ স্বর শোনা গেল বিমান (Biman Basu)- অধীর (Adhir Chowdhury) এর কণ্ঠে

Advertisement

শিয়রে এবারের বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু এখনও বাম কংগ্রেসের আসন রফা নিয়ে খলল না জট। রবিবার রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক শেষেও আসন বণ্টন নিয়ে সমাধানসূত্র অধরাই রয়ে গিয়েছে। সূত্র হতে জানা গিয়েছে যে, কংগ্রেস ১২০-১০ টি আসনের দাবি করেছে। কিন্তু এই দাবি মেনে নিতে পারেনি লাল শিবির। এর পর দুই দিক আরও বেশ কয়েকবার নিজদের মাঝে কথা বলবে। চলতি মাসের শেষেই রফা সম্পন্ন হবে বলেই সূত্রের খবর।

আসন রফা করতে গিয়ে যে দুই দলের মাঝে বিবাদ আরও বেড়েছে তা এইদিন বৈঠকের শেষে রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি এবং বামফ্রন্টের চেয়ারম্যানের মুখে। দুই জনের ই বক্তব্য, জোট রফা সম্পন্ন করতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। আরও বেশি করে নিজেদের মাঝে কথা বলতে হবে। বিমান বসু (Biman Basu) বলেন,”দুই পক্ষের মাঝে কোনও তিক্ততা ছাড়াই আসন রফা হবে।”অধীর চৌধুরীর (Adhir Chowdhury) বক্তব্য,”এটা একটা প্রক্রিয়া বামফ্রন্টের শরিকরা আলোচনা করবেন নিজেদের মাঝে। অন্যদিকে কংগ্রেসও কথা বলবে নিজেদের মাঝে।”

তবে এই দিন সাংবাদিকদের সামনে ঠিক বৈঠকের পরে মেজাজ হারাতে দেখা গিয়েছে অধীর চৌধুরীকে। এর পরেই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি আলোচনা তেমন হয়নি? সূত্র হতে জানা গিয়েছে যে, দুই পক্ষই তৈরি করেছে তালিকা। বৈঠকে ১২০-১৩০ আসনের দাবি করেছে কংগ্রেস। আরও জানা গিয়েছে যে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে ২৮ তারিখ।

এইদিন সকালে সাংবাদিক বৈঠকে বসে বাম এবং রাজ্যের প্রধান কংগ্রেস নেতৃত্ব। বামেদের তরফে ছিলেন তাদের চেয়ারম্যান বিমান বসু, সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়, আরএসপির পক্ষ থেকে মনোজ ভট্টাচার্য ও সিপিআইয়ের স্বপন বন্দোপাধ্যায়। কংগ্রেসের তরফে ছিলেন প্রদেশ সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী, বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। আসন রফার সূত্র খুঁজতে বসে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়, এমনটাই সূত্র হতে জানা গিয়েছে।

Related Articles

Back to top button