আসনরফা নিয়ে আলোচনার আগেই লাল-কংগ্রেস জোটে সমস্যা! প্রকাশ্যে কাজিয়া দুই শিবিরের
জোটের দুই শিবিরের মাঝে আসনরফা নিয়ে এখনও শুরু হয়নি আলোচনা। চলতি মাসের শেষে এই কথা বার্তা শুরু হওয়ার কথা। তার আগেই জোটের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন পুরুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতো(Nepal Mahato)
বিমানের এক টাকার পালটা কংগ্রেসের কোটি। দুই শরিকের বাদানুবাদে জোটে তিক্ততা উর্ধ্বমুখী। লাল এবং কংগ্রেসের মধ্যে এইভাবে তিক্তত বাড়তে থাকলে জোট কি আদৌ সূর্যের আলো দেখবে? এমনটাই রাজনৈতিক মহলে উঠেছে প্রশ্ন।
জোটের দুই শিবিরের মাঝে আসনরফা নিয়ে এখনও শুরু হয়নি আলোচনা। চলতি মাসের শেষে এই কথা বার্তা শুরু হওয়ার কথা। তার আগেই জোটের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন পুরুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতো(Nepal Mahato)। জেলায় ফরওয়ার্ড ব্লককে একটা আসনও ছাড়বেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তার এই বক্তব্যে জোটের মধ্যে জটিলতার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে যখন দুই শিবিরের মধ্যে কথাবার্তা চলছে ঠিক তখনই পালটা আক্রমণে ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। সোমবার পুরুলিয়ার মাটিতে দাঁড়িয়ে নাম না করেই বিধায়ক নেপাল মাহাতো কে এক টাকার নেতা বলে তোপ দাগেন বিমান। জোটে আসনরফা নিয়ে যখন আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ঠিক তখন বর্ষীয়ান এই বাম নেতার মুখ থেকে এমন মন্তব্য শুনে ক্ষুব্ধ বিধান ভবন। মঙ্গলবার তথা আজ সকাল থেকেই কংগ্রেস শিবিরের বাক্যবাণে বিদ্ধ বাম চেয়ারম্যান বিমান বসু(Biman Basu)।
এই দিন প্রথম সরব হন কংগ্রেসের প্রয়াত প্রাক্তন সভাপতি সোমেন মিত্রর ছেলে রোহন মিত্র। নেপাল মাহাতোর বিষয়ে বিমান বসুর পালটা সোশ্যাল মিডিয়ায় রোহন মিত্র লেখেন, ‘”কংগ্রেস নেতারা টাকার নেতা নন। বামেরা হতে পারে। নেপালবাবু এক পয়সারও নেতা নন। আপনি এক টাকার বলেছেন।” উলটে সিপিএমের বিরুদ্ধেই টাকা নেওয়ার অভিযোগ তোলেন প্রদেশ কংগ্রেসের এই সাধারণ সম্পাদক। তিনি লেখেন ”আপনারা তো অন্য দলের লোকের থেকে টাকা নেওয়া কয়েক কোটি টাকার নেতা। নেপালবাবু টাকার নেতা নন। পুরুলিয়ার কংগ্রেস কর্মীরা মানবে না।” যদিও বিষয়টি নিয়ে বেশি জলঘোলা হোক, এমনটাই চাইছেনা লাল শিবির। বিধানভবনের নেতারাও এই বিষয়ে একমত। জোট পন্থী নেতাদের বক্তব্য, জোট ভেঙে গেলে আখেরে লাভ হবে গেরুয়া শিবিরের।