শক্তি বৃদ্ধি করে এবার বাংলার দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। অবশেষে আশঙ্কায় সত্যি হল। আন্দামান সাগরের উপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তটি শক্তি বৃদ্ধি করে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আর সেই নিম্নচাপ বঙ্গোপসাগরের উপরে পৌঁছে আরও শক্তি বৃদ্ধি করছে। কালীপুজোর দিন এই ঘূর্ণিঝড় পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে। তারপরের দিন মঙ্গলবার তা ফের আরও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে, মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে এখনো পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ প্রসঙ্গে বিশেষ কোনো তথ্য জানা যায়নি।
তবে যেহেতু অন্ধ্র উপকূল ধরে ঘূর্ণিঝড়টি ধেয়ে আসছে, তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাতে আছড়ে পড়তে পারে সিত্রাং। এছাড়া বাংলা বাংলাদেশ উপকূলের কাছ দিয়েও বয়ে যেতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যে। মনে করা হচ্ছে, অন্ধ্র উপকূল ধরে ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশ উপকূল বরাবর এগিয়ে বাংলাদেশের বুকে আছড়ে পড়বে। এমনটা হলে বড়সড় দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পাবে রাজ্য।
তবে অভিমুখ যাই হোক না কেন এখন থেকেই সতর্ক হচ্ছে রাজ্য সরকার। উপকূলবর্তী এলাকাগুলি বিশেষ করে, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ইত্যাদি জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার একদিকে যেমন নিম্নচাপে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে, ঠিক অন্যদিকে অমাবস্যা ভরা কোটাল উদ্বেগ আরও বাড়াচ্ছে। এই কারণে আগামী ২৩-২৫ অক্টোবর মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া আগামী মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড়টি বাংলা বাংলাদেশ উপকূলে পৌঁছে যাবে এবং স্থলভাগে প্রবেশের সময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে প্রায় ১১০ কিমি প্রতি ঘন্টা।