আগামী বুধবার পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র তটে আছড়ে পড়বে এ বছরের দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড় যশ। হাওয়া অফিস জানিয়ে দিয়েছে আগামী ২৩ তারিখ থেকে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করবে দীঘা এবং সংলগ্ন সমস্ত উপকূলবর্তী এলাকায়। মৎস্যজীবীদের নির্দেশ করে দেওয়া হয়েছে যেন তারা এই সময় সমুদ্রে না যান। তার পাশাপাশি আবহাওয়া দপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছে, ২৫ তারিখ থেকে বৃষ্টি শুরু হবে এবং ২৬ তারিখে এই ঝড়ের সম্পূর্ণ প্রভাব আমরা দেখতে পাব।
২৫ তারিখ থেকে ৭০ কিলোমিটার গতিতে শুরু হবে ঝড়। ২৪ তারিখের আগে নিম্নচাপ পর্যায়ে থাকবে এই ঘূর্ণিঝড়। তারপর পরিণত হবে সিভিয়ার সাইক্লোনে। তবে এখনো পর্যন্ত হাওয়া অফিসের যা পূর্বাভাস, তাতে বলা হচ্ছে, এই ঝড়ের গতিবেগ আমফানের থেকে অনেকটাই কম। তবে বড় আকারের ঘূর্ণিঝড় যে হবে, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে উপকূলবর্তী অঞ্চলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আনাগোনা। উপকূলবর্তী এলাকায় জারি করে দেওয়া হয়েছে এনডিআরএফ সেনা জওয়ানদের। সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে উড়িষ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিতে ঝড় শুরু হবে। মঙ্গলবার গতিবেগ বাড়িয়ে ৬০ কিলোমিটারের গণ্ডি পার করবে ঘূর্ণিঝড়। উড়িষ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে ভারী বৃষ্টি। বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুই রাজ্যের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আসবে।
সমুদ্রে থাকা মৎস্যজীবীদের এই কারণে আগামীকালের মধ্যে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দীঘা মোহনায় থাকা সমস্ত নৌকাগুলিকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও একইরকমভাবে সতর্ক পুলিশ এবং প্রশাসন। মাইকের মাধ্যমে প্রচার করে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। কলকাতাতেও সর্তকতা জারি করা হয়েছে। ২০টি বিপর্যয় মোকাবিলা দল তৈরি করা হয়েছে। সাথেই যদি গাছ পড়ে যায় তাহলে গাছ কাটার অত্যাধুনিক যন্ত্র নিয়ে আসা হয়েছে। গঙ্গাবক্ষে নজরদারির পরিমাণ বৃদ্ধি করতে রিভার ট্রাফিক পুলিশকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল এই ঝড়ের গতি প্রকৃতি এবং সেগুলির পর্যালোচনা নিয়ে হাই লেভেল বৈঠক হবে রাজ্যে।