আম্ফানের থেকেও ভয়ংকর, বাংলার দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’
আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর সুন্দরবনে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে
গতবছর মোটামুটি এই সময় নাগাদ পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়েছিল ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। আমফানের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো অশনিসংকেত পশ্চিমবঙ্গের জন্য। ফের পশ্চিমবঙ্গের দিকে ধেয়ে আসছে একটি ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া দপ্তর এর রিপোর্ট অনুযায়ী পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর একটি নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে। এই নিম্নচাপ ঘূর্ণবাতে পরিণত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আর যদি তেমনটা হয়, তাহলে আর কিছুদিনের মধ্যেই সুন্দরবনে আছড়ে পড়বে এই বছরের দ্বিতীয় এবং ভয়ঙ্কর শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর আগামী ২৩ মে পশ্চিমবঙ্গে আসতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় যশ। এই ঘূর্ণিঝড়ে তীব্রতা এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আম্ফান এর থেকেও বেশি হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, এই ঘূর্ণিঝড় আম্ফান এর থেকেও বেশি ভয়ঙ্কর হতে চলেছে। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব পড়বে শুধুমাত্র সুন্দরবনের উপরে। তারপর অভিমুখ পরিবর্তন করে এই ঝড় সরাসরি বাংলাদেশে পৌঁছে যাবে। অন্যদিকে আবার আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, অন্যবারের তুলনায় এইবারে বর্ষা কিছুটা আগে প্রবেশ করতে চলেছে বাংলায়। মোটামুটি জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ দেশে পুরোপুরি বর্ষা প্রবেশ করে যাবে। আর পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করতে করতে সময় লাগবে ৮ জুন।
কিন্তু বেশ কয়েকদিন ধরে ভীষণ প্যাচপ্যাচে গরমে নাজেহাল হয়ে উঠেছেন বাংলার মানুষ। তার মধ্যেই আবার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়ে দিয়েছে আর কিছুদিনের মধ্যে আসছে নতুন ঘূর্ণিঝড়। আগামী দুই দিনের জন্য আবহাওয়া পরিবর্তন তেমন একটা হবে না। তাপমাত্রার পারদ ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডে কাছাকাছি ঘোরাফেরা করবে। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং সহ উত্তরবঙ্গের প্রায় প্রত্যেকটি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।