তিব্বত: তিব্বতি আধ্যাত্মিক গুরু দলাই লামার উপর চলছে নজরদারি, এমনকি বেশ কিছুদিন ধরেই চিনের নাগরিক চার্লি পেং-এর নির্দেশে দুই ব্যক্তি নজর রাখছিল । আর এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে আসতেই দলাই লামার বাসস্থান ধর্মশালায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত দুজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ কেন দলাই লামার ওপর নজরদারি করা হলো তার কোনো কারণও খুঁজে পাচ্ছেনা কেউ। তবে কে এই চার্লি পেং?
বেশ কিছুদিন আগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের হাতে ধরা পড়েছিলেন এই চিনা নাগরিক ।জাল ভারতীয় পাসপোর্টও বহন করতেন এই চার্লি পেং। দীর্ঘদিন ধরেই নাকি বেআইনি অর্থ লেনদেন চক্র চালাতেন চার্লি পেং। সেনট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট টাক্সেস দফতর তাঁকে গ্রেফতারও করেছিল। গত দু’-তিন বছর ধরে কিছু জাল সংস্থার মাধ্যমে চিন ও ভারতের মধ্যে হাওলার টাকা লেনদেন করেন এইটা চার্লি পেং। এমনকি ২৪টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছেন আয়কর বিভাগের কর্মীরা। সেখান থেকেও মিলেছে জাল আধার কার্ড।মণিপুরের এক মহিলাকে বিয়ে করেছেন চার্লি পেং।
আর এই ঘটনায় ধৃত দুজনের মধ্যে একজন মহিলা যার নাম লান হো তিনি চীনা নাগরিক এবং অপরজন সোনু বাংটু, কিন্তু সে চিনা নাগরিক নাকি তিব্বতী রিফিউজি সে সম্পর্কে এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এই দুজনকেই ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো এবং অন্যান্য সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা এই জেরা করছে।
তবে তাঁদেরকেই কেন দলাই লামাকে নজরদারি করার জন্য বাছাই করা হয়েছে তাও সঠিক জানা যায়নি। চার্লি পেং এস কে ট্রেডার্স সংস্থার তরফে টাকাও ট্রান্সফার করেছেন এইটা দুই ব্যক্তির নামে। এখানেই শেষ নয় ৪০টি জাল ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এক হাজার কোটি টাকার লেনদেন করেছেন এই চার্লি পেং। নির্বাসনে থাকা তিব্বতী প্রশাসনিক কাজ ধর্মশালা থেকেই হয় দলাই লামার নেতৃত্বে এখন আপাতত তাও হচ্ছে অনেক নিয়ম নীতি মেনে।