বিহার উত্তরপ্রদেশের পর নদীবক্ষে মৃতদেহ উদ্ধার বাংলায়, তীব্র চাঞ্চল্য এলাকাজুড়ে
জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে তিস্তা নদীর চরে মৃতদেহ আটকে থাকতে দেখা যায়
কিছুদিন আগে বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের গঙ্গা নদীতে মৃতদেহ ভাসতে দেখা গিয়েছিল। সেই ছবি বা ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে আসতেই তা দাবানলের মত ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকেই দাবি করেন করোনায় আক্রান্ত মৃতদেহ ঠিকমতো সৎকার করার জায়গা না থাকায় নদীবক্ষে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে এই তথ্য মানতে চায়নি প্রশাসন। বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের একাধিক নদী ঘাটে সারি সারি লাশ ভাসতে দেখা যায়। এমনকি নদীর পাশাপাশি গ্রামগুলি চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটায় যাতে না তাদের নদীতে ভাসা মৃতদেহ থেকে করোনার সংক্রমণ হয়।
সেই সময় নবান্ন তরফে জানানো হয় যে বিহার এবং উত্তর প্রদেশ থেকে গঙ্গা যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছে তাই কড়া নজর রাখতে হবে যে কোন মৃতদেহ যাতে না ভেসে বাংলায় প্রবেশ করে। কিন্তু শেষমেশ নদীর জলে ভাসতে দেখা গেল মৃতদেহকে। তবে তা গঙ্গায় না। আজ অর্থাৎ শুক্রবার তিস্তার চরে মৃতদেহ আটকে থাকতে দেখে আতঙ্ক সৃষ্টি হয় জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে। জানা গিয়েছে স্থানীয়রা আজ সকালবেলা ওই মৃতদেহ চরে আটকে থাকতে দেখে। তড়িঘড়ি স্থানীয় বাসিন্দারা স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে মৃতদেহ উদ্ধারের খবর দেয়।
জানা গিয়েছে, একব্যক্তি আজ সকালে মাছ ধরতে এসে মৃতদেহটি দেখতে পান। তিনি ময়নাগুড়ির পদ্বতি দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের হেলাপাড়ির তিস্তায় ওই মৃতদেহ দেখেন। মৃতদেহ দেখে প্রথমে তিনি স্থানীয় মানুষকে জড়ো করেন। বিষয়টি নিয়ে প্রবল চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে স্থানীয় বাসিন্দারা ময়নাগুড়ি পুলিশ স্টেশনে খবর দেয়। সেখানে পুলিশ এসে মৃতদেহ কোথা থেকে এলো তা নিয়ে তদন্ত শুরু করে।
এই বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, তিস্তার জলে মৃতদেহ ভেসে আছে এই প্রথম কোন ঘটনা নয়। এই নিয়ে আতঙ্কের কোন কারণ নেই। আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে মৃতদেহটি উদ্ধার করতে সময় লেগেছে। তবে তদন্ত করে দেখা হবে ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছিল ওই ব্যক্তির। ময়নাগুড়ি থানার আইসি জানিয়েছে খারাপ আবহাওয়ার কারণে আজকে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পুলিশ পরবর্তী পদক্ষেপে তদন্ত শুরু করবে।