সারা দেশ এখন হাথরস কান্ড নিয়ে প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠেছে। যার ব্যপক প্রভাব পড়েছে কলকাতায়ও। হাতরসের ঘটনার প্রতিবাদে এক অভিনব ক্যাম্পেন আনছেন তৃণমূল যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। ক্যাম্পেনের নাম #ভালোথাকবোন। এই অভিযানে আজ, রবিবার ঠিক রাতে দশ টায় ঘরের আলো বন্ধ করে ছাদে উঠে মোমবাতি জ্বালানোর মধ্যে দিয়ে হাতরসের নিন্দা ও দেশের সব বোনেদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হবে।
ইতিমধ্যেই হাথরস ধর্ষণ কান্ড নিয়ে তোলপাড় হয়েছে সারা ভারত। বৃহস্পতিবার নির্যাতিতা তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে কার্যত গ্রেফতার হযতে হয়েছিলো রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। আর এবার হাথরসের পথে তৃণমূলের সাংসদের দলের প্রতিনিধিরা। তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন। দেবাংশুর মতে, “দেশ এমনিতেই অন্ধকারে ডুবে রয়েছে। তা বোঝাতেই ঘরের আলো নেভানোর উদ্যোগ। আর প্রতিবাদের আলো জ্বলবে মোমবাতি জ্বালিয়ে”।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তর প্রদেশের হাতরসে ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। ঘটনার সপ্তাহ দুই পর মঙ্গলবার ভোরে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে যুবতীর মৃত্যু হয়৷ এর পরেই সারা ভারত জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়৷ নির্যাতিতার মৃত্যুর পরিবারের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই এ দিন ভোরে ওই যুবতীর দেহ সৎকার করে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ৷ অন্য দিকে হাথরসের দলিত তরুণীকে মধ্যরাতে দাহ করার ঘটনায় কাঠগড়ায় উঠেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এর নাম।
এরপরে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন একাধিক বিরোধি দলের নেতা। কিন্তু সব মিলিয়ে যত দিন যাচ্ছে পরিস্থিতি ততোই জটিল হচ্ছে। এর পরেই যোগী আদিত্যনাথ সরকার হাথরসের ঘটনায় সিবিআই দিয়ে তদন্তের জন্য প্রস্তাব দিয়েছে৷ ইতিমধ্যেই শনিবার সন্ধ্যাবেলায় পীড়িতার পরিবারের বয়ান নথিভুক্ত করার জন্য সিট হাথরসে পৌঁছয়৷ কিন্তু নির্যাতিতার বাবা-র স্বাস্থ্য একেবারে ঠিক নেই৷ সিটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ওঁনার শরীর ঠিক হলে ফের তাঁর কাছে যাওয়া হবে৷