পশ্চিমবঙ্গ :দুদিন আগেই নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান আনলক-৪ এ চালু হতে পারে মেট্রো এবং লোকাল ট্রেন পরিষেবা। কিন্তু করোনা আবহে বদলে যেতে চলেছে আগের অনেক নিয়ম। ট্রেনে ওঠার ক্ষেত্রেও পালন করা হবে সামাজিক দুরত্ব । কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত না নেওয়ার কারনে অনিশ্চিত হয়ে রইলো ট্রেন পরিষেবা। অন্যদিকে আবার দূরপাল্লার ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রে রাজ্যের সঙ্গে কথা বলার জন্য জেনারেল ম্যানেজারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ট্রেন পরিষেবা চালু করার জন্য এখনো অপেক্ষা করতে হবে। কারন কেন্দ্র আর রাজ্য যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে সঠিক করে না জানায় তবে ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। তবে প্রথম দিকে সব ট্রেন না চালানো হলেও কিছু সংখ্যক ট্রেন চালানো হবে। আর সে ক্ষেত্রে সামাজিক দুরত্ব মেনে এবং যথাযথ নিরাপত্তা বজায় রেখেই ট্রেন চালাতে হবে। ট্রেন চালানোর জন্য এখন শুধু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও রেলের অনুমতিরই অপেক্ষা রয়েছে।
সব ঠিকঠাক ভাবে এগোলে সেপ্টেম্বরের প্রথম থেকেই চলবে ট্রেন। সংক্রমণ রুখতে প্রথম থেকেই ব্লু-প্রিন্ট কার্যকর করা হবে। অটোমেটিক থার্মাল স্ক্যানারও থাকবে। যাত্রীদের ঢোকার সময়ই শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হবে।সতর্কতা বজায় রাখার জন্য থাকবে অটোমেটিক থার্মাল স্ক্রিনিং মেশিন৷ লোক সংখ্যা এড়াতে শহরতলির স্টেশনে ঢোকা-বেরনোর পথ আলাদা করে দেওয়া হচ্ছে।
এমনকি কোন স্টেশনে দাঁড়াবে, কোথায় দাঁড়াবে না তা ঠিক করে দেবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য।কিন্তু স্টেশন চত্বরে আপাতত খুলব কোনও দোকান। ট্রেন চলাচল শুরু হলে, বদলাবে স্টেশন চত্বর। যাত্রীদের যাতায়াতের পথ বদলানোর পাশাপাশি বদলে দেওয়া হতে পারে আরও নিয়ম। আর এসবের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় তা হলো নিষিদ্ধ হতে চলেছে হকারদের প্রবেশও।