বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল নিউদিল্লি। ফলে ক্ষমতায় আসার পর শহরের দূষণ মাত্রা কমিয়ে আনাটাই ছিল আপ সরকারের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে দূষণ নিয়ন্ত্রণে এখনও পর্যন্ত যথেষ্ট তৎপরতার সাথে কাজ করে চলেছে তারা। কিন্তু দিল্লি ও তার আশেপাশের অঞ্চলগুলি দিওয়ালিতে প্রচন্ড বাজি ফাটানোর জন্য বিষাক্ত ধোঁয়ায় আটকে পড়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিত দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা কর্তৃক তাই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। জানুয়ারীর পর প্রথমবারের মতো বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই অঞ্চলে দূষণের মাত্রাটি মারাত্মক অবস্থা ধারণ করেছিল। তাই পরিবেশ দূষণ কর্তৃপক্ষও পাঁচ নভেম্বর পর্যন্ত নির্মাণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। এছাড়া পরিবেশ দূষণ কর্তৃপক্ষও শীতের মরশুমে পটকা ফাটানো নিষিদ্ধ করেছে।
এরপর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইট করেছেন, দিল্লির স্কুলগুলি মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর অবধি বন্ধ থাকবে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আজ স্কুল শিশুদের দম মুখোশ বিতরণের সময় শহরটিকে একটি “গ্যাস চেম্বার” হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি প্রতিবেশী রাজ্য হরিয়ানা ও পাঞ্জাবকেও দোষ দিয়েছেন, যেখানে বছরের এই সময়টিতে হাজার হাজার কৃষক উত্তর ভারত জুড়ে ফসলের খড় পুড়িয়ে যে ধোঁয়া তৈরি করে। কারণে দূষণ আরও বাড়ছে বলে দাবি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর।