তিনদিন ধরে চলা সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল রাজধানী দিল্লী। এরপর ধীরে ধীরে সেখানে শান্তি ফিরে আসছে। তৎপর হয়ে উঠেছে দিল্লী পুলিশ। গতকাল পর্যন্ত দিল্লী পুলিশের কাছে হিংসা নিয়ে ১৬৭টি এফআইআর দায়ের করা হয়। যার মধ্যে ৩৬টি এফআইআর অস্ত্র আইনের অধীনে এবং ১৩টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্বেষমূলক মন্তব্য ছড়ানোর অভিযোগে। যদিও ৭ই মার্চ পর্যন্ত দিল্লীর সমস্ত স্কুল-কলেজগুলিকে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তবে সিবিএসই’র তরফ থেকে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করার কথা এখনও ঘোষণা করা হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রবিবার দিল্লীর বিভিন্ন প্রান্তে দফায় দফায় বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
তিন দিনের সংঘর্ষে ৪৬ জনের মৃত্যু সহ ৩০০ জন আহত হয়েছে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আজ দিল্লীর উত্তর-পূর্ব জেলা আধিকারিকের অফিসে যান মুখ্যমন্ত্রী। এরপর তিনি জানিয়েছেন যে আর কোনো হিংসাত্মক ঘটনার কথা জানা যায়নি। এছাড়া তিনি ১৮ জন এসডিএমের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেন।
আরও পড়ুন : ক্ষমতায় আসলে পশ্চিমবঙ্গকে ‘সোনার বাংলা’য় পরিণত করবে মোদী সরকার
গুরু তেগবাহাদুর হাসপাতালে আহত হয়ে ভরতি হওয়া মানুষদের দেখতে শনিবার হাসপাতালে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন।জানা গেছে হাসপাতালেই মারা গেছেন প্রায় ২২ জন। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি দেখতে যান জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন রেখা শর্মা। তিনি বলেন যে, “হিংসায় আক্রান্ত হওয়া মহিলাদের কমিশনের তরফ থেকে একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হবে। তারা ঘটনাগুলি ঘটার প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখবে।”