বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও ভালো রিটার্ন পেতে আগ্রহী অনেকেই এলআইসির জীবন আনন্দ পলিসির দিকে ঝুঁকছেন। এই পলিসি এমন একটি স্কিম, যা গ্রাহকদের একটি সুরক্ষিত ভবিষ্যতের আশ্বাস দেয়। প্রতিদিন মাত্র ৪৫ টাকা বিনিয়োগ করলে ৩৫ বছরের শেষে ২৫ লাখ টাকার রিটার্ন পাওয়া যাবে। এটি এমন একটি পরিকল্পনা যা কম প্রিমিয়ামের মাধ্যমে বড় পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করার সুযোগ দেয়। এই স্কিম সমন্ধে বিস্তারিত জানতে এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
জীবন আনন্দ পলিসি মূলত একটি টার্ম প্ল্যানের মতো, যেখানে গ্রাহককে পলিসির মেয়াদ চলাকালীন প্রিমিয়াম দিতে হবে। এই পলিসিতে সর্বনিম্ন সাম অ্যাসিওর্ডের পরিমাণ ১ লাখ টাকা, তবে সর্বোচ্চ কোনও সীমা নেই। গ্রাহকরা সময়সীমার মধ্যে নিয়মিত প্রিমিয়াম পরিশোধ করলে ম্যাচিউরিটি শেষে একাধিক সুবিধা লাভ করবেন। গ্রাহকদের জন্য এই পলিসি বাস্তবায়ন করতে হলে দৈনিক ৪৫ টাকা বা মাসে ১৩৫৮ টাকা ও বছরে ১৬,৩০০ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। ৩৫ বছর এই নিয়মিত বিনিয়োগের মাধ্যমে মোট ৫,৭০,৫০০ টাকা জমা হবে। পলিসির সময়সীমা অনুযায়ী মূল বিমার পরিমাণ হবে ৫ লাখ টাকা। তবে ম্যাচিউরিটির সময় ৮.৬০ লাখ টাকার রিভিশনারি বোনাস এবং ১১.৫০ লাখ টাকার ফাইনাল বোনাসও প্রদান করা হবে।
এলআইসির জীবন আনন্দ পলিসিতে বিশেষ সুবিধা হচ্ছে, এটি দুই ধরনের বোনাস প্রদান করে। কিন্তু গ্রাহকদের মনে রাখতে হবে, এই স্কিমে কর ছাড়ের সুবিধা নেই। তবে, চার ধরনের রাইডারের সুবিধা পাওয়া যায়। এই রাইডারগুলো অন্তর্ভুক্ত করে অ্যাক্সিডেন্টাল ডেথ অ্যান্ড ডিসেবিলিটি রাইডার, অ্যাক্সিডেন্ট বেনিফিট রাইডার, নিউ টার্ম ইন্স্যুরেন্স রাইডার এবং নিউ ক্রিটিক্যাল বেনিফিট রাইডার।এলআইসির জীবন আনন্দ পলিসিতে শুধুমাত্র ডেথ বেনিফিট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যদি পলিসি চলাকালীন গ্রাহকের মৃত্যু ঘটে, তাহলে নমিনিকে পলিসির ১২৫ শতাংশ ডেথ বেনিফিট প্রদান করা হয়। এই নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিশ্চিত করে যে, পরিবারের সদস্যদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত থাকবে। এই পরিকল্পনাটি যে সমস্ত বিনিয়োগকারীর জন্য উপযোগী, তাদের জন্য এটি একটি আকর্ষণীয় সুযোগ। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং ভালো রিটার্নের সন্ধানে যারা আছেন, তাদের জন্য এলআইসির জীবন আনন্দ পলিসি একটি আদর্শ পছন্দ হতে পারে।