আবারো জল যন্ত্রণায় ভুগতে শুরু করেছে খড়্গপুরের মানুষ। প্রত্যেকবারের মতো এবারেও বৃষ্টিতে মানুষের অবস্থা একেবারে নাজেহাল। স্থানীয় বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন খড়্গপুরের সাধারণ মানুষেরা। আর তা নিয়ে, বিক্ষোভ দেখান দিলীপ ঘোষ নিজেও। তিনি প্রশ্ন তোলেন, তহবিলের টাকা দেওয়া সত্ত্বেও তা দিয়ে কাজ হচ্ছে না কেন? প্রথমে তার ধারণা ছিল এলাকার কাউন্সিলর হয়তো তৃণমূলের সদস্য। কিন্তু তিনি যে বিজেপির, তা জানার পরে একটু আক্রমণের ঝাঁঝ কমালেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বললেন, “দরকার পড়লে বাড়ির সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান, ল্যাম্প পোস্টে বেঁধে ঝুলিয়ে দিন”।
এদিন খড়্গপুরে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন মেদিনীপুরের সংসদ দিলীপ ঘোষ। সেখানে গিয়ে নিজের শহর খড়্গপুরের মানুষের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। সেখানে গিয়ে একজন বিজেপি কর্মী কে দেখে এলেন তিনি। কিন্তু সেখানেই তিনি সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। এলাকার সাধারণ মানুষ যাওয়ার পথেই তার গাড়ি আটকে জল যন্ত্রণার অভিযোগ তোলেন এবং দিলীপ ঘোষের সামনে বিক্ষোভ দেখান। গাড়ি থামিয়ে অভিযোগের কথা শোনেন দিলীপ ঘোষ। তার পরেই তিনি সমস্ত কথা শুনে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন।
দিলীপ ঘোষ তিতিবিরক্ত হয়ে বলেন, “এতদিন কি ঘুমোচ্ছিলেন? সাংসদ তহবিলে টাকা আমি দিয়েছি পুরসভাকে। আমার দেওয়া টাকায় কোনো কাজ করেনি পুরসভা।” স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ” পুরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখান, রাস্তায় নেমে যান, পথ আটকান, আমি আপনাদের সঙ্গে রয়েছি। এলাকার মানুষের কোনো দাবি পূরণ করার জন্য কাউন্সিলের এলাকায় আসেন না। কোন কাজের দেখাশোনা করে না। ”
কিন্তু পরবর্তীকালে দিলীপ ঘোষ জানতে পারেন, ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিজেপি সদস্য। সেই কথা শুনে দিলীপ ঘোষ বলেন, “দরকার পরলে তার বাড়ির বাইরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখুন, যাতে সে বাড়ি থেকে বের হতে না পারে। সবকি দিলীপ ঘোষ করে দেবে?” যদিও দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, টাকা দিয়ে তিনি এমন অভিযোগ শুনবেন না। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন বিধায়ক হিসেবে তিনি টাকা দিয়েছেন, পাশাপাশি সাংসদ হিসেবেও তিনি টাকা দিয়েছেন। কিন্তু তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার কোন কাজ করতে দেয় নি। অন্যদিকে ওই ওয়ার্ড এর বিজেপি কাউন্সিলর সুখ্রাজ কাউর দিলীপ ঘোষের বক্তব্য শুনে হঠাৎ করে বলেন, ” এতদিন ভালো সার্টিফিকেট দিয়ে এসেছেন। কিন্তু আজকে হঠাৎ কি হলো বুঝলাম না।”