আজ ২৫ নভেম্বর সোমবার রাজ্যের তিনটি কেন্দ্রের উপনির্বাচন। খড়গপুর সদর, করিমপুর, এবং কালিয়াগঞ্জ কেন্দ্রে উপনির্বাচনে ভোটারদের লাইন দেখার মতো। তারই মাঝে করিমপুরে এক বুথে বিশৃঙ্খলার খবর মিলছে।
২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিন কেন্দ্রে ভোট প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। লড়াইটা মূলত বিজেপি এবং তৃনমূলের। প্রতিটি দলের লক্ষ্য নিজেদের মর্যাদা রক্ষা। করিমপুর বিধানসভায় অশান্তির আশঙ্কার জন্য ১০ টি কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী মতোয়েন করেছে কমিশন। প্রায় প্রতিটি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ২৬১ টি বুথ রয়েছে। যার মধ্যে ২৫৩ টি বুথে আধা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এবং খড়গপুর এবং কালিয়াগঞ্জ কেন্দ্রে ২৭০টি বুথ রয়েছে। রাজ্যে প্রতিটি ভোটে অশান্তির সৃষ্টি হয় বলেই কেন্দ্র বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে করিমপুরের এক বুথে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বেলা এগারোটা নাগাদ করিমপুরের পিপুলখোলা এলাকায় হেনস্থার শিকার হন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। অভিযোগ করা হয়েছে যে বিজেপি নেতাকে মাটিতে ফেলে মারধর করে। এমনকি তাকে লাথি মেরে জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়। পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনে ঘটনাটি ঘটলেও কেউ কিছু করতে পারল না। এই ঘটনার জন্য কমিশনের কাছে কাছে অভিযোগ জানায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন এর আগেও এমন ঘটনা একাধিক বার ঘটেছে। ঘটনার সময় পুলিশ উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কিছু করল না কেন? নির্বাচনে হারার ভয়েই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তৃনমূল।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে মুকুল রায় বলেন, রাজনৈতিক জীবনে তিনি কোনো নেতাকে কোনোদিন মারতে মারতে ঝোপের মধ্যে ঢুকতে দেখেননি। এর বিরুদ্ধে জেলাশাসককে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।