বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানকে ঘিরে সংঘর্ষ হয় পুলিশ ও বিজেপি সমর্থকদের মাঝে। একদিক পুলিশ হতে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হয় কাঁদানে গ্যাস এবং জলকামানের মাধ্যমে। অন্যদিকে পুলিশের দিকে ইট বৃষ্টি করে গেরুয়া কর্মীরা। আটক করা হয়েছে দলের বেশ কিছু মহিলা কর্মীকেও। এইদিন তাদের সাথে দেখা করতে গিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এইদিন এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যুও হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে পদ্ম শিবিরের পক্ষ থেকে। আহত হয়েছেন প্রায় ১৫ জন দলীয় কর্মী। সোমবার তথা আজ তাদের দেখতে ফুলবাড়ির হাসপাতালে পৌঁছান দিলীপ ঘোষ। সেখানে তিনি বলেন,” হাসপাতালে আনার পর মৃত্যু হয়েছে একজন বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের। তার গায়ে ছিল বন্ধুকের গুলির ছিটে। ময়না তদন্তে এর পরও জানা যায়নি সঠিক কারণ। তবে রয়েছেন আরও ১৫ জন। তাদের সাথে আলাপ হয়েছে। প্রত্যেকের দেহেই আছে গুলির দাগ। পাখি মারার বন্দুক ব্যবহার করা হয়েছে।”
এইদিন নেতা আরও বলেন,”পুলিশ এর সমস্ত কাজ করেছে। পুলিশ অস্বীকার করেছে সমস্ত বিষয়কে সমস্ত বিষয়টি। এই যে ঘটনা ঘটেছে তার জবাব দিতে হবে পুলিশকে। বাড়ির ছাদ দিয়ে বোম ফেলা হয়েছে। পুলিশ গুলি লাঠি জলকামান চালিয়েছে। ঠিক নন্দীগ্রামের কায়দায় হামলা হয়েছে আমাদের ওপর।”
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আমফান এবং করোনা দুর্নীতি নিয়ে উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি কর্তৃপক্ষ। রাজ্য বিজেপি যুব হতে ডাক দেওয়া হয়েছিল এই অভিযানের। যুব মোর্চা হতে ডাক দিলেও হাজির ছিলেন গেরুয়া শিবিরের প্রথম সারির নেতারা। কিন্তু অভিযানের প্রথম দিনই পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে বিজেপি নেতাদের। অন্যদিকে গুলি চালানো এবং লাঠি চার্জ করার বিষয়টিকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে রাজ্য পুলিশ। শাসক শিবিরের নেতাদের এই বিষয়ে বক্তব্য,”কোনও সরকারি নথি নেই অভিযানে মৃতের।”