একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল বিজেপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার আশা করা গেলেও বাস্তবের মাটিতে গেরুয়া শিবির মুখ থুবড়ে পড়েছিল। একদিকে তৃণমূল কংগ্রেস ২১৩ আসন পেয়ে বাংলার মসনদে তৃতীয়বারের জন্য শাসক হিসেবে স্থান পেয়েছে। অন্যদিকে গেরুয়া শিবির মাত্র ৭৭ আসন পেয়েছে। এত প্রচারের পর গেরুয়া শিবিরে এমন ধ্বস নামতে পারে তা হয়তো আশা করেনি কোন বঙ্গবাসী। কেন্দ্রীয় নেতারা এসে বারংবার বাংলায় প্রচার করেছে বিজেপির জন্য। তবে এবার রাজ্য নেতৃত্বরা মনে করছে হয়তো কেন্দ্রীয় নেতাদের বারংবার বাংলাতে আশায় বুমেরাংয়ের মত কাজ করেছে বিজেপির জন্য।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ গতকাল বিজেপির এমন হারের বিষয়ে চুলচেরা পর্যালোচনা করতে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানেই তিনি বলেছেন যে কোন কেন্দ্রীয় নেতাদের সাহায্য আর লাগবে না। তিনি বলেছেন, “এতদিন আপনারা আমাদের সাহায্য করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ। এবার আমাদের বিষয়টা আমাদের বুঝে নিতে দিন।” গতকাল দিলীপ ঘোষের কথায় এটি স্পষ্ট যে বিজেপি বুঝতে পেরেছে বাংলার মানুষ তৃণমূলের বহিরাগত তত্ত্বকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের এত আনাগোনা কাল ডেকে এনেছে বিজেপির ফলে।
এমনকি গতকালের বৈঠকে ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের কথা উঠলে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, “ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে দিল্লির নেতৃত্ব আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, তাঁরা কী ভাবে আমাদের সাহায্য করতে পারেন। আমি ওঁদের বলে দিয়েছি, এতদিন আপনারা অনেক সহযোগিতা করেছেন, সেজন্য ধন্যবাদ। এবার আমাদের বিষয় আমাদেরই বুঝে নিতে দিন।” আরেকজন বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, “ভিন রাজ্যের নেতাদের বাড়াবাড়ির জন্য আজকে বিজেপির এরকম ফল হল। আমাদের রাজ্যে কি নেতার অভাব আছে? দিলীপদা স্পষ্ট বলে দিয়েছেন যে দিল্লির শাসন আর মানবো না।”