রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ইতিমধ্যেই অত্যন্ত শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তারপর থেকেই বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক সমস্যা। একাধিকবার বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে এসেছেন রাজ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এবারে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সম্ভবত আজকে রাতে অথবা কালকে একদম সকাল-সকাল নাগাদ তিনি দিল্লি উড়ে যাবেন। আগামীকাল জেপি নড্ডা এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করার কথা আছে দিলীপ ঘোষের। সূত্রের খবর, বিশেষ করে জেপি নাড্ডা দিলীপ ঘোষকে দিল্লিতে তলব করেছেন।
তবে এখনো পর্যন্ত পরিষ্কার নয় কেন দিলীপ ঘোষকে দিল্লিতে ডাকা হয়েছে, ব্যাপারটি। তবে রাজনৈতিক মহলের বিশ্লেষণ এর মতে, মূলত তিনটি কারণ রয়েছে দিলীপ ঘোষকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে ডাকার। প্রথমটি হলো একুশে নির্বাচনের পর থেকে রাজ্যজুড়ে বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তার ফলে দলের প্রতি আস্থা হারিয়ে অনেকে তৃণমূলে গেছেন। তাদেরকে কিভাবে বিজেপির আবার ফিরিয়ে আনা যায় সেই নিয়ে আলোচনা করতে পারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।
দ্বিতীয়তঃ, রাজ্যে নির্বাচনে প্রত্যাশিত ফলাফল হয়নি এবং কেন হয়নি তার প্রাথমিক তদন্ত শেষ করেছেন অমিত শাহ এবং তার টিম। সেখান থেকে উঠে এসেছে, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে একবার দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কথা বলতে চান দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতারা। তার পাশাপাশি রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে বেশকিছু রদবদল করার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই বাবুল সুপ্রিয় দেবশ্রী চৌধুরী এর মত মন্ত্রীদের ইস্তফা দিতে বলা হয়েছিল, তাই মনে করা হচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব তাদেরকে একটা কোনো না কোনো বড় পদে নিয়োগ করবে।
তৃতীয়তঃ, সৌমিত্র খাঁ বাবুল সুপ্রিয় এবং তথাগত রায় এই সমস্ত নেতা মাঝেমধ্যেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের ঠিক সমস্যাটা কি এবং তাদের ক্ষোভ প্রশমিত করতে দলের কোন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত সেই নিয়ে হয়তো কথা বলতে পারেন জেপি নাড্ডা। সম্ভাবনা আছে, দিলীপ ঘোষের কাছ থেকে এই প্রশ্নের জবাব চাইবেন তিনি।














Amanda Seyfried Describes Socialism as ‘A Gorgeous Idea’ While Discussing New Film