রানী রাসমনি মানেই প্রথমে মাথায় আসে হালিশহরের সেই ছোট্ট মেয়ে। ১০ বছরে বাবু রামচন্দ্র দাসের সাথে বিয়ে করে লাজুক রানি পালকি করে কলকাতাতে আসেন। ধীরে ধীরে বনেদি সাজে কলকাতার গৃহিনী হয়ে ওঠেন। এখন আর বাবু রাজচন্দ্র নেই, একাই জামাইদের সাহায্যে নিজের শ্বশুরবাড়ির পৈতৃক ব্যবসা সামলাচ্ছেন। এখন রাসমনী মানেই গাম্ভীর্য। এখন রানি হয়ে উঠেছেন সকলের রানি মা যে সকলের দুঃখ নিয়ে ভাবেন।
এই রানি রাসমনি ৪ বছর ধরে রমরমিয়ে চলছে। সর্বদা টিআরপিতে শীর্ষে নিজের জায়গা করে রেখেছে। রাসমনির এই সাফল্যের পিছনে একজনের হাত। তিনি আর কেউ না সকলের প্রিয় রানী মা ওরফে দিতিপ্রিয়া। দিতিপ্রিয়া যখন ক্লাস ৯ এ পড়তেন তখন থেকে তিনি রাসমনি সিরিয়াল করছেন। সদ্য স্কুল শেষ করে কলেজ জীবনে প্রবেশ করেছেন দিতিপ্রিয়া। কলেজে উঠতে বেশ সক্রিয় নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে।
বর্তমানে দিতিপ্রিয়া বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা অপরাজিত উপন্যাসের শেষভাগ নিয়ে তৈরি শুভ্রজিৎ মিত্রর ছবি ‘অভিযাত্রিক’ সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। সত্যজিৎ রায় ‘অপু ট্রিলজি’ শেষ করেছিলেন ১৯৫৯এর অপুর সংসার-এ। ঠিক সেখান থেকেই শুরু হবে অপুর যাত্রা মানে অভিযাত্রিক। এই ছবিতে অপুর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অর্জুন চক্রবর্তী আর অপর্ণার ভূমিকায় রয়েছেন দিতিপ্রিয়া রায়। অর্পণা রুপে দিতিপ্রিয়াকে দেখার জন্য অধীর আগ্রহী দর্শক। ২৬ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের (KIFF) ফিল্ম সিলেকশন কমিটি ইতিমধ্যে বেছে নিয়েছে বাংলা ছবি ‘অভিযাত্রিক’। ৬০ বছর পর অর্জুন আর দিতিপ্রিয়ার মাধ্যমে এই অপু ও অর্পণার জুটি পর্দায় আসতে চলেছে।
অভিনেত্রী সিরিয়াল সিনেমায় বড় চুল থাকলেও বাস্তব জীবনে ও তিনি কিন্তু বয়েজ কাট চুলে অভ্যস্ত। অভিনেত্রী বেশির ভাগ ছবি নিজের চুলে তুলতে ভালোবাসেন। সামনে ছিল দুর্গাপুজো আর দুর্গাপুজোতে নানান পুজোর ছবি নিজের হেয়ারস্টাইলে সাবলীল ভাবে করেছিলেন। দিন দিন অভিনেত্রীর গ্ল্যামার বেড়েই যাচ্ছে। তাই প্রায়ই নিজের ছবি ফটোশুট করেন। এবার তিনি ভালোবাসায় মত্ত। কিন্তু কার সাথে প্রেমে মজেছেন অভিনেত্রী। না না তিনি কারোর প্রেমে পড়েননি নিজের পোষ্যকে রবিবার সকালে আদর করতে ব্যস্ত নায়িকা। শীতের সকালে হাল্কা বেবি পিঙ্ক কালারের জ্যাকেট আর জিন্স সাথে তাঁর পোষ্য মিলে সময় কাটাচ্ছেন। আর মুহূর্তে এই পোস্ট ভাইরাল।
View this post on Instagram