পরীক্ষামূলকভাবে একটি পাইলট প্রজেক্ট এর মাধ্যমে আজ থেকে পশ্চিমবঙ্গের চালু করে দেওয়া হল দুয়ারে দুয়ারে রেশন প্রকল্প। প্রতিশ্রুতি মতো নিজের কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা যখন নির্বাচনী ময়দানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তখন প্রচারের সময় বলেছিলেন তিনি দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু করতে চলেছেন। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্যবস্তু হল গ্রাহকের বাড়িতে নির্দিষ্ট সময়ে রেশন পৌঁছে দেওয়া।
সেই মতই শুক্রবার সকালে ৬ অঞ্চলে ২৩৪ জন নির্বাচিত রেশন গ্রাহকের বাড়িতে গিয়ে রেশন পৌঁছে দেওয়া হল রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। স্থানীয় রেশন ডিলারের সাহায্য নিয়ে এ কাজ করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর এই স্বপ্নের প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে হুগলির বাঁশবেড়িয়া, পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল, উত্তর কলকাতার আমহারস্ট স্ট্রীট, দক্ষিণ কলকাতার নিউ আলিপুর, উত্তর ২৪ পরগনার বরাহনগর এবং হাওড়ার বালি ও বেলুড়ের কিছু কিছু গ্রাহকের বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে স্থানীয় পৌরসভা এবং রেশন ডিলার দের সহায়তায়।
বরাহনগরে সমস্ত বাড়িতে গিয়ে চাল এবং গম পাঠানোর কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকারের খাদ্য দপ্তর। বাড়ির কাছে গিয়ে রেশন উপভোক্তাদের বাড়ি থেকে তাদেরকে ডেকে এনে তাদের কার্ড স্ক্যান করে রেশন দেওয়া হয়। বরাহনগর এর পৌরসভার পুর প্রশাসক অপর্ণা মল্লিক জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প তৈরি করার জন্য বরাহনগর বাসীকে ধন্যবাদ।
এই উদ্যোগ গ্রহণ করার ফলে স্বভাবতই খুশি হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। এই সময়ে রোদে পুড়ে তাদেরকে আর রেশনে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে না।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী ইশতেহারের অন্যতম বড় আকর্ষণ ছিল এই দুয়ারে রেশন প্রকল্প। ভোটে বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করার পরেই এবারে সেই ঘোষণায় সীলমোহর লাগালো রাজ্য সরকার।