নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) বাজেটে (Budget) ঘোষণা করেছিলেন যে, কেউ যদি এক বছরে পিএফ-তে (Provident Fund) আড়াই লাখ টাকার বেশি জমা করেন, তবে তার সুদের কর আরোপ করা হবে। অর্থাত্ কেবলমাত্র আর্থিক বছরে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করলে কর ছাড়ের সুবিধা পাবেন। সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠে শুরু করেছে। তবে এখন অর্থমন্ত্রক এ বিষয়ে তার যুক্তি দিয়েছে। রাজস্ব বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, কর ছাড়ের যৌক্তিকতার জন্য এ জাতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছিলেন যে কিছু লোক অন্যায়ভাবে এই ছাড়ের সুবিধা নিচ্ছেন।
অর্থমন্ত্রকের সূত্র জানাচ্ছে, HNIদের একটি পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে ১০৩ কোটি টাকা। এর পরে আরও দুজন HNIএর অ্যাকাউন্ট রয়েছে ৮৬কোটি টাকা। প্রথম ২০ জন HNI এর মোট অ্যাকাউন্টে টাকার পরিমাণ ৮২৫কোটি টাকা। আর প্রথম ১০০ জনের পিএফ অ্যাকাউন্টের পরিমাণ ২হাজার কোটি টাকা। তবে এই ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। প্রকৃতপক্ষে, পিএফ-তে উচ্চ সুদের কারণে বেশিবেতন প্রাপ্ত কিছু ব্যক্তি (এইচএনআই) লুকিয়ে সুদে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করছিলেন। যেখানে সৎ করদাতারা সবকিছু করেও সুবিধা পাচ্ছিল না। এমনিতে পিএফে আমানতকারীদের মধ্যে প্রচুর ফারার রয়েছে, যা নয়া নিয়মের মাধ্যমে পরিবর্তন হবে বলে আশাবাদী কেন্দ্রে।
পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে ইপিএফ-র সাড়ে চার কোটিরও বেশি আমানতকারীদের রয়েছে। এর মধ্যে ১.২৩ লক্ষেরও বেশি এইচএনআই অ্যাকাউন্টধারীরা রয়েছেন। যারা প্রতি মাসে তাদের পিএফ অ্যাকাউন্টগুলিতে বিশাল অঙ্কের টাকা জমা রাখেন তাঁর মোট জমা রাখার অর্থের পরিমাণ বর্তমানে ৬২,৫০০ কোটি টাকা। যার উপর তারা কর না দিয়ে আট শতাংশ হারে সুদ পাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, পিএফ-তে ট্যাক্স ছাড়ের পাশাপাশি ভাল রিটার্নও রয়েছে। এজন্য লোকেরা পিএফ-তে বিনিয়োগের প্রথম বিকল্প হিসাবে বিবেচনা করে। তবে এখন কারোর এক বছরে পিএফ-তে আরও আড়াই লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন তবে সেটা করের আওতায় আসবে। এই নিয়ম চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে প্রযোজ্য হবে।