পশ্চিমবঙ্গের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় আজকে থেকে জারি করে দিয়েছেন লকডাউন। গতকাল একটি সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এই নতুন ধরনের লকডাউন এর বিভিন্ন বিধি-নিষেধ জানিয়ে দিলেন। মেট্রো, বাস, ট্রেন এবং লঞ্চ পরিষেবা সহ বেশ কিছু গণপরিবহন পরিষেবা বন্ধ হতে চলেছে এইবারের লকডাউনে।
তবে, ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা এই লকডাউনে সরাসরি প্রভাব পড়বে ডিম এবং মুরগির মাংসের দাম এর উপরে। নবান্নের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে সকালবেলা ৭টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান। কিন্তু, অপরপক্ষে, যদি ডিম এবং মাংস আমদানি না করা হয় তাহলে কিন্তু দাম বেড়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে এখনো পর্যন্ত নির্দিষ্টভাবে তেমনভাবে কিছু জানানো হয়নি নবান্ন তরফ থেকে। তবে যতটা বোঝা যাচ্ছে, এই ধরনের ট্রাক বন্ধ হতে চলেছে এই লকডাউন এর সময়। যদি সেরকম হয় তাহলে কিন্তু ডিম এবং মুরগির যোগান একেবারে তলানিতে গিয়ে পৌঁছবে। পাকিস্তানে গতবছর করোনাভাইরাস এর সময় এমন একটা অবস্থা তৈরি হয়েছিল যখন একটা ডিমের দাম প্রায় আকাশছোঁয়া হয়ে গিয়েছিল।
ভারত বা বাংলার ক্ষেত্রে সেরকমটা না হলেও লকডাউন এর সময় আশঙ্কা করা হচ্ছে একটি ডিমের দাম ১০ টাকার কাছাকাছি যাবে। রাজ্য পোলট্রি ফেডারেশনের সেক্রেটারি মদনমোহন মাইতি অনুরোধ জানিয়েছেন যেন, রাজ্য সরকার পোল্ট্রির গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে ছাড় দেয়। তা না হলে একটা আর্টিফিশিয়াল ক্রাইসিস তৈরি হবে ডিম এবং মুরগির মাংসের। যার ফলে অদূর ভবিষ্যতে ডিম এবং মুরগির মাংসের দাম একেবারে আকাশছোঁয়া হতে চলেছে।