এমনিতেই উত্তর প্রদেশে একটি ঘটনাবহুল রাজ্য হিসেবে বিখ্যাত। প্রত্যেকদিন উত্তরপ্রদেশের একটা না একটা ঘটনা সংবাদের শিরোনামে থাকে। আর তার মধ্যেই এবারে করোনাভাইরাস এর দ্বিতীয় ঢেউয়ে একেবারে বেসামাল অবস্থা উত্তরপ্রদেশের। বর্তমানে অভিশপ্ত একটি সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ভারত। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে সব জায়গায় দেখা যাচ্ছে মৃত্যু মিছিল, সব জায়গাতে জ্বলছে চিতা। এরকম পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশের আরো একটি মর্মান্তিক ছবি সামনে এলো।
ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর। এই এলাকায় অমানবিক ঘটনার শেষ নেই বলেই দাবি করেন বিরোধীরা। দাবিটা যে খুব একটা ভুল তাও কিন্তু নয়, উত্তরপ্রদেশের বেশকিছু ঘটনা মাঝেমধ্যেই শিরোনামে থাকে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে এখানে আরও এক মর্মান্তিক দৃশ্য উঠে এলো। উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরে এক বৃদ্ধকে বাধ্য করা হলো যাতে করোনাভাইরাস এর মৃত স্ত্রীর দেহ শেষকৃত্য করার জন্য সে সাইকেলে করে গ্রামের বাইরে নিয়ে যায়।
স্ত্রী করোনায় মৃত তাই গ্রামে শেষকৃত্য করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এমত অবস্থায় স্ত্রীকে সাইকেলে চাপিয়ে নিয়ে যেতে বলা হলো বৃদ্ধকে। কিন্তু এই বয়সে অশক্ত শরীর নিয়ে একটা সাইকেল চালানোই বড় দুষ্কর হয়ে ওঠে। সঙ্গে আছে তার মৃত স্ত্রীর দেহ। ফলেই স্বাভাবিকভাবে শারীরিক কারণে সাইকেল নিয়ে পড়ে গেলেন বৃদ্ধ। একই সঙ্গে সাইকেলের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে গেল তার স্ত্রীর দেহ। আক্ষেপে কষ্টে নতজানু হয়ে বসে থাকতে দেখা গেল ওই বৃদ্ধকে।
গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত একাধিক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গিয়েছে যোগীর রাজ্যে। একটা সময় দাবি করা হয়েছিল, যোগী রাজ্যে অক্সিজেনের কোন অভাব নেই। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা একেবারেই উল্টো, আগ্রার হাসপাতালে একটি ঘটনা যোগী আদিত্যনাথ এর ওই দাবিকে একেবারেই ভুল প্রমাণ করে দিচ্ছে। আগ্রার হাসপাতলে গতকাল থেকে অক্সিজেনের অভাব দেখা যায়। অক্সিজেনের অভাবে সেই হাসপাতালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন ৮জন করোনা রোগী। মৃত্যুর কারণ করোনাভাইরাস হলেও, আদতে তারা কিন্তু অক্সিজেনের অভাবে মারা গিয়েছিলেন।