পাটনা: একে তো দেশে রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। যদিও দীর্ঘ লকডাউন উঠে ‘আনলক ফোর’-এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশবাসী। তবুও করোনা পরিস্থিতি এখনও পর্যন্ত ভারতের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগজনক। করোনা সংক্রমণের নিরিখে বিশ্বের মধ্যে কার্যত শীর্ষে উঠে এসেছে ভারত। আর এমন সময় নির্বাচন হওয়া যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং বলেই মনে করছে নির্বাচন কমিশন। তবে চ্যালেঞ্জিং হলেও সময়ের কাজ সময়ে করতেই হবে। আর তাই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন।
বিশ্বে মোট ৭০টি দেশ এখনও পর্যন্ত করোনা আবহের কারণে নির্বাচন পিছিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বিহারে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। আগামী ২৮ অক্টোবর থেকে এই ভোটদান প্রক্রিয়া শুরু হবে। বিহার বিধানসভার মোট আসন সংখ্যা ২৪৩। তিন দফায় হবে এবার বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। প্রথম দফ হবে ২৮ অক্টোবর। যেখানে ১৬টি জেলায় ৭১টি নির্বাচন কেন্দ্র নিয়ে ভোটগ্রহণ হবে। দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ হবে ৩ নভেম্বর। এই দফায় ১৭টি জেলায় ৯৪টি নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে এবং ৭ নভেম্বর তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ হবে। যেখানে ১৫টি জেলায় ৭৮টি নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া চলবে।
কিন্তু যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং যারা কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে, তাদের ভোটদান প্রক্রিয়া কীভাবে সম্ভব? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই পরিষ্কার করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের প্রধান সুনীল অরোরা এ বিষয়ে বলেছেন, “করোনা রোগীরাও ভোটদান করতে পারবে। এমনকি যারা কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে, তাদেরও ভোটদানের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে। তবে সাধারণ মানুষদের সঙ্গে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে করোনা রোগী কিংবা কোয়ারেন্টাইনে থাকা ভোটাররা ভোট দিতে পারবে না। তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে।’ এমনটাই তিনি জানিয়েছেন।
বিপুল পরিমাণ পিপি কিট এবং স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করবে নির্বাচন কমিশন। সব মিলিয়ে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন কার্যত এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এখন সেই চ্যালেঞ্জে সফলতার সঙ্গে নির্বাচন কমিশন উতরে যেতে পারে কিনা, সেটাই দেখার।