নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের থেকে ভোট চাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে নোটিশ নির্বাচন কমিশনের

একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে ইতিমধ্যেই। গতকাল তৃতীয় দফা নির্বাচন হওয়ার পর আগামী ১০ এপ্রিল আছে চতুর্থ দফা নির্বাচন। এই নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা খেলো জোড়াফুল শিবির। খোদ…

Avatar

একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে ইতিমধ্যেই। গতকাল তৃতীয় দফা নির্বাচন হওয়ার পর আগামী ১০ এপ্রিল আছে চতুর্থ দফা নির্বাচন। এই নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা খেলো জোড়াফুল শিবির। খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের জন্য তাকে নোটিস পাঠাল নির্বাচন কমিশন। আসলে তৃণমূল সুপ্রিমো কিছুদিন আগে এক জনসভাতে গিয়ে প্রকাশ্যে মুসলিমদের একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী কোন রাজনৈতিক দলের নেতা বা কর্মী প্রকাশ্যে কোন ধর্ম বা সম্প্রদায়ের থেকে ভোট চাইতে পারেনা। মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে এই কথা বলে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছেন।

নির্বাচন কমিশন তাদের নোটিশে জানিয়েছে যে বিজেপি তাদের অভিযোগে উল্লেখ করেছে যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তারকেশ্বরের জনসভাতে গিয়ে বলেছিলেন, “আমি হাতজোড় করে সংখ্যালঘু ভাই-বোনদের বলছি বিজেপির কাছ থেকে যে শয়তানরা টাকা নিয়েছে তাদের কথা শুনে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করবেন না।” মুখ্যমন্ত্রীর এই কথা সরাসরি টিভিতে সম্প্রচারিত হয়েছিল যা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছে।

তারপর আবার নরেন্দ্র মোদি বাংলায় জনসভায় সরাসরি বলেছিলেন, “দিদি প্রকাশ্যে মুসলিমদের একজোট হওয়ার কথা বলছেন। এদিকে আমি যদি হিন্দুদের একজোট হওয়ার কথা বলতাম তাহলে এতক্ষণে কমিশনের আট-দশটা নোটিশ আমার কাছে চলে আসত।” প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরই নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন। তারা সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিশ দিয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন যে তিনি এমন কথা কেন বললেন। তিনি ব্যাখ্যা না দিলে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।