‘আগামী ২৪ ঘন্টা প্রচার করতে পারবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’, নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস দল
একুশে বিধানসভা নির্বাচন জোর কদমে চলছে বাংলায়। ইতিমধ্যেই চার দফা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এই চার দফা নির্বাচনে বিক্ষিপ্ত অশান্তি এবং তৃণমূল বিজেপির দ্বন্দ্ব নিয়ে সরগরম গোটা বঙ্গ রাজনীতি। তারমধ্যে জোড়াফুল শিবিরের সাথে ঠান্ডা যুদ্ধ চলছে নির্বাচন কমিশনের। এক কথায় বলতে গেলে মমতা বনাম বিজেপি একদিকে যেমন প্রকট হচ্ছে ঠিক তেমনি অন্যদিকে বারংবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনকে কটাক্ষ করছে। তবে এরই মধ্যে আজ নির্বাচন কমিশন কড়া নির্দেশ দিয়েছে যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ২৪ ঘন্টা কোন নির্বাচনী প্রচার করতে পারবে না।
নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৩ এপ্রিল জনসভায় করা বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য শোকজ নোটিশ করা হয়েছিল। কিন্তু তার উত্তরে সন্তোষজনক কিছু বলেননি তিনি। এমনকি আংশিক উত্তর দিয়ে দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। আবার পরে অন্য একটি জনসভাতে গিয়ে মমতা বলেছেন আমাকে ১০ বার শোকজ করা হলেও আমি এক উত্তর দেব।” তাই তার ওপর ভিত্তি করে প্ররোচনামূলক মন্তব্যের জেরে আগামী ২৪ ঘন্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোন নির্বাচনী প্রচার করতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সোমবার রাত ৮ টা থেকে মঙ্গলবার রাত ৮ টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টা নির্বাচনী প্রচার করতে নিষেধ করেছে।
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস দল। দলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ নির্বাচন কমিশনকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “একুশে বিধানসভার নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন স্বৈরাচারী ও হিটলারি কায়দায় ভোট করাতে চাইছে। বুলেটের ডগায় রেখে ভোট করানো হচ্ছে। মমতা সেই কাজের প্রতিবাদ করলে তাকে থামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন বিজেপির শাখা সংগঠনে পরিণত হয়েছে।” এছাড়াও ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছেন, “আজকের দিনটি গণতন্ত্রের জন্য একটি কালো দিন।”