সুশান্ত আত্মহত্যা কান্ডে মূল অভিযুক্ত তার প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী। ইতিমধ্যেই গত ৮ই আগস্ট তাকে ৯ ঘন্টা ম্যারাথন জেরা করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তবে এই কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে, তাদের করা প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দেননি এই অভিনেত্রী। তাই তাকে ফের মুম্বাইয়ের দপ্তরে হাজিরা দিতে ডাকা হয়েছে।
সোমবার তাকে উপস্থিত থাকার জন্য শমন পাঠিয়েছে ইডি। পাশাপাশি তার পরিবারের অন্য দুই অভিযুক্ত সদস্য, তার বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী এবং ভাই সৌভিক চক্রবর্তীকেও হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, শমন পাঠানো হয়েছে সুশান্তের বন্ধু ও ফ্ল্যাটমেট সিদ্ধার্থ পিঠানিকে, যিনি রিয়ারও ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
উল্লেখযোগ্য, গত ১৪ই জুন বান্দ্রার বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল সুশান্ত সিং রাজপুতকে। তার মৃত্যু ক্রমশ রহস্যে পরিণত হয়েছে। অনেকের দাবী এটি আত্মহত্যা নয় বরং পরিকল্পিত খুন। ইতিমধ্যেই রিয়ার বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা, প্রতারণা এবং আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করেছেন সুশান্তের বাবা কেকে সিং।
এই আর্থিক অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এছাড়াও তার মৃত্যু তদন্তে সঠিক ভূমিকা না পালন করায় প্রশ্ন ওঠে মুম্বাই পুলিশের বিরুদ্ধে। এরপরই বিহার সরকারের তরফ থেকে সুপারিশ করা হয় সিবিআই তদন্তের। ইতিমধ্যে তা মঞ্জুরও করেছে সর্বোচ্চ আদালত। এবার ইডি এবং সিবিআই তদন্তে আসল সত্য উঠে আসে কিনা সেইদিকেই তাকিয়ে সুশান্তের পরিবারসহ অনুগামীরা।