চিন থেকে তার কেন্দ্রবিন্দু সরিয়ে এখন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ঘাঁটি গেড়েছে করোনা। বিভিন্ন দেশের সরকার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতা জারি করেছে। তবে প্রভাব বেড়েই চলেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট কোভিড ১৯। ইতিমধ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে চরম আকার ধারণ করেছে তা।
করোনার আক্রমণে চরম সঙ্কটে ইউরোপ। বিভিন্ন দেশে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে চলেছে। একদিনে ইতালিতে মৃত্যু হয়েছে ৩৬৮ জনের। যা সব ভয়াবহতাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। স্পেনের ফার্স্ট লেডিও করোনা আক্রান্ত। করোনা সংক্রমণের ভয়ে বাকিংহাম প্যালেস থেকে অন্যত্র সরানো হয়েছে ব্রিটেনের রানীকে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন : করোনা মোকাবিলায় আপতকালীন তহবিলে ১ কোটি ডলার দেওয়ার প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, শুক্রবার এক সতর্কতা জারি করে জানিয়েছিল, যে চিন থেকে তার কেন্দ্রবিন্দু সরিয়ে ফেলেছে করোনা ভাইরাস। বর্তমানে করোনার কেন্দ্রস্থল ইউরোপ। সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স। এখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০০-এর বেশি। মৃত প্রায় ১০০-র কাছাকাছি। রবিবার থেকে সরকারিভাবে সমস্ত কিছু বন্ধ রয়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে না বেরানোর নির্দেশিকা জারি করেছে ফ্রান্স সরকার।
এদিকে, স্পেনেও জারি রয়েছে জাতীয় জরুরি অবস্থা। স্পেনের ফার্স্ট লেডি, প্রধানমন্ত্রী পেড্রো স্যাঞ্চেসের স্ত্রী বেগোনা গোমেজ করোনা আক্রান্ত বলে খবর পাওয়া গেছে। প্রতিটি দেশ নিজেদের বিছিন্ন করেছে। সিল করে দিয়েছে সীমান্ত। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আপাতত যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার উপরই ভরসা রাখছে সবাই।