শ্রেয়া চ্যাটার্জি – কবির ভাষায় বলতে হবে ‘দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর’। কিন্তু ফিরে যাওয়ার আর বোধ হয় কোন জায়গা নেই। পৃথিবীর বনভূমি ক্রমশ শেষ হতে শুরু করেছে। বনভূমির শেষ হওয়া মানেই পৃথিবীতে অক্সিজেনের ঘাটতি। বিধ্বংসী আগুনে ছাড়খাড় হয়ে গেল আমাজন ব্রাজিলের বনভূমি। সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য।
প্রতি ৬ সেকেন্ডে কমে যাচ্ছে একটি ফুটবল মাঠের সমান বনভূমি। যাকে বলে শিউরে ওঠার মতন ঘটনা। বনভূমি না থাকলে গোটা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। বনভূমিকে অক্সিজেনের কারখানা বলা হয়। অক্সিজেনের যোগান যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে পৃথিবীতে কোন প্রাণী থাকবে কি করে?
বনভূমি হারিয়ে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বন্যপ্রাণ। পৃথিবীতে জীবজগতের ভারসাম্য হারিয়ে যাবে। গোটা পৃথিবীতে সমস্ত জায়গায় ক্রান্তীয় বনভূমি ক্রমশ হারিয়ে যেতে বসেছে। ইন্দোনেশিয়াতে ও ৩,২৪০ বর্গকিলোমিটার বনভূমি নিঃশেষ হয়ে গেছে। পেরুতে ১,৬২০ বর্গ কিলোমিটার কলম্বিয়াতে ১,১৫০ বর্গ কিলোমিটার, মালয়েশিয়াতে ১,২০০ বর্গ কিলোমিটার বনভূমি এখনো পর্যন্ত শেষ হয়ে গেছে। গোটা বিশ্ব যখন করোনার আতঙ্কে আতঙ্কিত তখন গবেষকদের এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য সকলের মনেই ভয়ের সঞ্চার করবে। বনভূমিকে বাঁচিয়ে রাখা ভীষণ প্রয়োজন। বনভূমি থাকলে গোটা পৃথিবী বেঁচে থাকবে।