খাতা দেখায় গাফিলতির কারণে, শোকজ হতে পারেন উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষকরা। পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদসূত্রে জানা গিয়েছে, খাতা দেখায় গাফিলতির কারণে সমস্যায় পড়তে পারেন উচ্চ মাধ্যমিকের বেশ কিছু পরীক্ষক। মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পোস্ট পাবলিকেশন রিভিউ বা পিপিআর এবং পোস্ট পাবলিকেশন স্ক্রুটিনি বা পিপিই এর ফলাফল। এই ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা গিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার খাতা দেখার সময় বিস্তার গাফিলতি করেছেন শিক্ষকরা। মাধ্যমিকের রিভিউ এবং স্ক্রুটিনির ফলাফলে যেখানে মাত্র তিন শতাংশ ছাত্র-ছাত্রীর নম্বর বেড়েছে, সেখানে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রায় ২০ শতাংশ ছাত্রছাত্রীর নম্বর বৃদ্ধি হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার খাতার রিভিউ এবং স্ক্রুটিনির ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে, স্ক্রুটিনিতে ৮,৩৬১টি এবং রিভিউতে ৮৫,২২৭টি আবেদন জমা পড়েছিল। এখনো পর্যন্ত মূল্যায়ন হয়েছে ১৮৫৭৬ জনের। তার মধ্যেই তাদের নম্বরে বড়সড় পরিবর্তন ধরা পড়েছে সংসদের চোখে। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এটা কিন্তু সর্বাধিক। প্রায় ১৯.৮৫ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রীর নম্বর বৃদ্ধি হওয়ার কারণে, পরীক্ষকদের খাতা দেখার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।
একটি পত্রে এক ধাক্কায় বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৮ নম্বর। ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ নম্বর বৃদ্ধি পেয়েছিল ৫২। এক পরীক্ষার্থী এক বিষয়ে পেয়েছিলেন মাত্র ছয়। সেই নম্বর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০। আবার তার মধ্যে দেড় হাজার উত্তরপত্রের মূল্যায়ন এখনো বাকি রয়েছে। এই বিষয়টা নিয়ে নতুন করে ক্ষুব্ধ সংসদ কর্তারা। এই কারণেই খাতা দেখায় গাফিলতির অভিযোগ নিয়ে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
তাদেরকে শোকজ করে জানতে চাওয়া হবে কেন তাদের খাতা দেখায় এমন সমস্যা হয়েছে। এই কারণে রিভিউ-র ফল প্রকাশের পর এই সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে কোন পথে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা এখনো পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়নি। ইতিমধ্যেই সেই পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে সংসদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বেশ কয়েকজন শিক্ষক নম্বর যোগ করতে ভুল করেছিলেন। এছাড়াও খাতা দেখার ক্ষেত্রে বেশ কিছু জায়গায় নম্বর দিতে শিক্ষকরা ভুল করেছিলেন। তাই এই ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না হয়, তাই করা হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে চাইছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।