[ Exclusive Interview ] নেপালের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো হবে সুদৃঢ় হবে : সায়ন্তন বসু
ভারতবর্ষের কোটি কোটি মানুষ রামচন্দ্র কে মানেন, বিশ্বাস করেন। এটা বিশ্বাস এর প্রশ্ন , এটা ইতিহাসের প্রশ্ন।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি ভারতের মহাকাব্য রামায়ণ কে নিয়ে হাস্যকর আজগুবি মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বলাবাহুল্য চীনের মদতে ভারতের বন্ধু হিসেবে পরিচিত নেপালে ডিগবাজি দেওয়ার পর থেকে সম্পর্কে কিছুটা অবনতি ঘটে ! ভারতীয় এলাকা নেপালের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করে বিতর্কের শিরোনামে উঠে আসে তবে এইবার বিষয়টি একটু ভিন্ন। চীন ইতিমধ্যে ব্যাকফুটে চলে গেছে ও কেপি শর্মা অলি কার্যত নিজের দেশে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন। এইবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী আরও একবার শিরোনামে উঠে আসলেন ভারতের মহাকাব্য নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্যে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মতামত নেওয়ার জন্য আমাদের ভারত বার্তা প্রতিনিধি প্রীতম দাস যোগাযোগ করেছিল মাননীয় বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু সঙ্গে। তিনি এই বিষয়ে তার গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের ভারত বার্তা প্রতিনিধিকে জানান।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছুদিন আগে মন্তব্য করেছিলেন আমাদের রামায়ণের অন্যতম ভগবান শ্রীরামচন্দ্র তিনি নাকি নেপালি ! ও অযোধ্যা নাকি নেপালে ছিল ! নেপালের প্রধানমন্ত্রী কী এবার নিজে রামায়ণ লিখতে শুরু করলেন ? কি বলতে চাইবেন পুরো বিষয়টিকে নিয়ে ?
সায়ন্তন বসু : দেখুন সেতো উনারাই বলতে পারবেন। ভগবান শ্রীরামচন্দ্র আমাদের আরাধ্য দেবতা বা তাকে ঈশ্বরের এক রূপ বলে মানি , তাকে একজন আদর্শ পুরুষ বলে মানি। ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠতম ব্যাক্তিদের মধ্যে একজন। নেপালের জনগণ শ্রী রামচন্দ্রকে আরাধ্য দেবতা মানেন। ইতিহাসের পরিবর্তন করা যায় না , বিশ্বাসের পরিবর্তন করা যায় না। অযোধ্যা ভারতের মধ্যেই আছে।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগে বলেছেন যে , রামায়ণের কোন ভিত্তি নেই ! নিজদেশে কোণঠাসা হয়ে কেপি ওলি কোন ভাবে নিজেকে লাইমলাইটে ধরে রাখতেই এই ধরনের আনটপকা মন্তব্য করছেন ?
সায়ন্তন বসু : দেখুন এগুলো কোন গুরুত্ব দেবার মতো বিষয় নয়। উনার যদি কিছু মনে হয় সেটা বলেছেন। ভারতবর্ষের কোটি কোটি মানুষ রামচন্দ্র কে মানেন , বিশ্বাস করেন। এটা বিশ্বাস এর প্রশ্ন , এটা ইতিহাসের প্রশ্ন।
নেপাল যে বিশ্বাসঘাতকতা ভারতের সাথে করলো এরপর ভবিষ্যতে কোনদিন নেপাল বন্ধুত্বের হাত বাড়ালে ভারতের গ্রহণ করা উচিত হবে বলে কি মনে করেন ?
সায়ন্তন বসু : দেখুন নেপালের সমস্যা নয় এটা চীনের সমস্যা। রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী ছিল পশুপতিনাথ মন্দির মাননীয়া ইন্দিরা গান্ধীকে নেপাল সরকার ঢুকতে দেয়নি। সে কারণে ভারতের সমস্ত সরবরাহ রপ্তানি নেপালে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এইসব কাণ্ডকারখানা চলেছে ।
ভারতবর্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশকে চীন প্ররোচিত করে। কমিউনিস্ট চীনের বার্তাটাই ভারতের বিরুদ্ধে থাকে। নেপাল ভুটান কখনো কখনো তাদের কাছে পড়ে যায় , তাদের খেলোয়াড় হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটা দুর্ভাগ্যজনক , আমরা নেপালের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পক্ষপাতি। আমরা নেপাল কে সবকিছু দিয়েছি , অনেক কিছু পেয়েছি তাই নেপালের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো হবে সুদৃঢ় হবে এই বিশ্বাস আমার আছে।
[ সাক্ষাৎকার গ্রহণ : প্রীতম দাস ]