প্রায় আড়াই মাস আগে কলকাতা পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তার বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় নিজ মন্ত্রীপদ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। যার ফলে নবান্ন থেকে সমস্ত নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত মঙ্গলবার, ভাইফোঁটার দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কালীঘাটের বাড়িতে ভাইফোঁটা নিতে গিয়েছিলেন শোভন ও তার বান্ধবী বৈশাখী। এই নিয়ে অনেক জল্পনা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে।
এক সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসা করা হয়, গত ৭ তারিখ নাকি শোভন বৈশাখী তৃনমূলে যোগ দিতে যাচ্ছেন, এই কারনে কি শোভন-বৈশাখীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে? তার উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, বহিষ্কার আমাদের নীতি না, শোভনকে আমরা স্বীকার করেছি মাত্র। শোভনকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “রাস্তায় একটা টাকা কুড়িয়ে পেয়েছিলাম, সেটা হাতে নিয়ে দান করে দিয়েছি। তাতে আমাদের কোনো ক্ষতি হয়নি।”
এরপর শোভনের প্রসঙ্গ আসতে দিলীপ ঘোষ বিরক্তি বোধ করে বলেন, ‘যারা এসেছিলেন তারা দেখতে এসেছিলেন এখানে থাকা যায় কিনা।’ তারপর মন্ত্রীপদের ব্যাপারে দিলীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসা করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, শোভনকে কোনো মন্ত্রীত্ব পদ দেওয়া হয়নি, উনি দলের কোনো সক্রিয় সদস্য ছিলেন না। উনি একবার পার্টি অফিসে এসেছিলেন, তাকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি।
গত ভাইফোঁটায় শোভন-বৈশাখীকে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে দেখে জল্পনা সৃষ্টি হয় রাজনৈতিক মহলে। শোন গেছে, শোভনকে ভাইফোঁটা দেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনকি বৈশাখীকে বোনফোঁটা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। শোভনকে ভুড়ি কমানোর পরামর্শও দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এমনকি নবান্ন থেকে শোভনকে পুনরায় নিরাপত্তা দেওয়া হয়।