রাজধানীতে দুই চিত্র! একদিকে পালিত হচ্ছে প্রজাতন্ত্র দিবস, অন্যদিকে ট্রাক্টর মিছিলের শুরুতেই ছোঁড়া হল কাঁদানে গ্যাস

নয়াদিল্লি: ট্র্যাক্টর মিছিলের (Tractor Rally) শুরুতেই ছোঁড়া হল কাঁদানে গ্যাস। কুচকাওয়াজের আগেই ব্যারিকেড ভেঙে শুরু হয় ট্র্যাক্টর মিছিল। একদিকে চলছে ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) কুচকাওয়াজ। অন্যদিকে, পূর্বনিধারিত সূচীর আগেই…

Avatar

নয়াদিল্লি: ট্র্যাক্টর মিছিলের (Tractor Rally) শুরুতেই ছোঁড়া হল কাঁদানে গ্যাস। কুচকাওয়াজের আগেই ব্যারিকেড ভেঙে শুরু হয় ট্র্যাক্টর মিছিল। একদিকে চলছে ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) কুচকাওয়াজ। অন্যদিকে, পূর্বনিধারিত সূচীর আগেই সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ সিঙ্ঘু সীমান্তে ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন আন্দোলনরত কৃষকরা (Farmers)। কথা ছিল ১২টা নাগাদ ট্র্যাক্টর মিছিল করবেন তারা। কিন্তু পুলিশ সূত্রের খবর, কয়েক হাজার ট্র্যাক্টর নিয়ে সিঙ্ঘু সীমান্ত ভেঙে দাপিয়ে বেরাচ্ছে কৃষকরা। টিকরি সীমানায় হাজার হাজার কৃষক ট্র্যাক্টর নিয়ে সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই মিছিল শুরু করে দিয়েছেন। সঞ্জয় গান্ধী ট্রান্সপোর্ট নগরে (Sanjay Gandhi Transport Nagar) বিক্ষোভকারী কৃষকদের হঠাতে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ল পুলিশ। সিঙ্ঘু সীমানার কৃষকরা ট্র্যাক্টর মিছিল নিয়ে পৌঁছন। তাদের আটকাতে অস্থায়ী পাঁচিল তুলে দেওয়া হয়েছে।

প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন তিনটি নির্দিষ্ট পথে ট্র্যাক্টর মিছিল করার অনুমতি দিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। কিন্তু সেসব সরকারি নির্দেশনামাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মিছিল শুরু করে দেন কৃষকরা। পুলিশের হাজারো নিষেধাজ্ঞা এবং অনুরোধকে ‘Don’t Care’ করে আন্দোলনরত কৃষকরা তীব্র গতিতে এগিয়ে যেতে থাকেন দিল্লির দিকে। সিংঘু সীমানায় ৫ হাজার কৃষকের জমায়েতের সামনে উপস্থিত সামান্য সংখ্যায় পুলিশকর্মীরা রীতিমতো অসহায় হয়ে পড়ে।

এদিন সকাল থেকে পশ্চিম দিল্লি সীমান্তে, টিকরি সীমান্তেও ছবিটা অল্পবিস্তর একইরকম ছিল। যদিও সেখানে কৃষক নেতারা ঘোষণা করেন, প্রতিবাদীরা যেন শান্তি বজায় রাখে। পুলিশের সঙ্গে কথা বলে তারা নিয়ম মেনে ট্র্যাক্টর মিছিল শুরু করবেন। একাধিক সংবাদ সংস্থা খবর দিয়েছে, সকাল থেকেই হাজার হাজার কৃষক জড়ো হয়েছেন বিভিন্ন সীমান্তে। দিল্লি পুলিশ রাজপথে সরকারি প্যারেডের পর কৃষকদের মিছিল শুরু করার কথা বললেও শেষ পর্যন্ত কৃষকরা সকাল থেকেই শুরু করে দিয়েছেন প্রতিবাদ। যা ইতিমধ্যেই আরও বড় আকার ধারণ করেছে।