৫ বছরে রেকর্ড পরিমাণে উদ্ধার জাল নোট, বন্ধ ২ হাজারের নোট ছাপা
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে মোটামুটি ২.৬১ লক্ষ এবং ২.১৯ লক্ষ্য জাল নোট ধরা পড়েছিল। কিন্তু, ২০২০ তে এই সংখ্যাটি গিয়ে দাঁড়ায় ৮.৩৪ লক্ষ তে।
এই বছর করণা ভাইরাসের কারণে অনেকটা সময় ছিল লকডাউন। আর এই কারণে তার সাথে সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে জালনোটের দাপট। সংসদে জানানো হয়েছে, ২০২০ সালে প্রতিদিন গড়ে ২,০০০ এর বেশি জাল নোট ধরা পড়েছে। আর তাতেই বেশ চিন্তিত অর্থমন্ত্রক।আগের বছরের তুলনায় জাল নোটের পরিমাণ কিন্তু আরো বেড়েছে এই বছরে। আর তার ফলে এবারে অর্থমন্ত্রক বন্ধ করতে চলেছে ২,০০০ এর নোট ছাপানো।
বিগত ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নোট বাতিল করার ঘোষণা করেন। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, এর ফলে ভারতে জাল নোট বন্ধ হয়ে যাবে এবং কালো টাকা উদ্ধার হবে। কিন্তু, দুটোর মধ্যে কোনটাই ঠিক করে হয়নি। জাল নোটের পরিমাণ আগের থেকে বহুগুণে বেড়ে গিয়েছে। ৪ কি ৫ বছর পরে সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে মোটামুটি ২.৬১ লক্ষ এবং ২.১৯ লক্ষ্য জাল নোট ধরা পড়েছিল। কিন্তু, ২০২০ তে এই সংখ্যাটি গিয়ে দাঁড়ায় ৮.৩৪ লক্ষ তে।
গত বছর জাতীয় অপরাধ পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছিল, যত পরিমাণ জাল নোট ধরা পড়েছে তার মধ্যে সবথেকে বেশি রয়েছে ২,০০০ টাকার নোট। ১,০০০ এবং ৫০০ টাকার পুরনো নোট বাতিল করে নতুন ২,০০০ টাকার নোট চালু করেছিল সরকার। তখন বলা হয়েছিল, এই নোটের জাল নোট বের করা মুশকিল হবে। কিন্তু তেমনটা হলো না, পুরনো নোটের থেকেও অনেক বেশি জাল নোট বেরিয়ে গেল নতুন নোটের।
আর এবারে নোট জাল হওয়া ঠেকাতে হয়তো বাজার থেকে তুলে নেওয়া হবে ২,০০০ টাকার গোলাপি নোট। এই নিয়ে অর্থমন্ত্রক জল্পনা উসকে দিয়েছে। গত দু’বছরে ২ হাজার টাকার নোট ছাপানোর কোন বরাত দেওয়া হয়নি। যখন নোট বাতিল করা হয়েছিল তখন ৩৫৪ কোটি ২,০০০ টাকার নোট ছাপানো হয়েছিল। এই সংখ্যাটা ২০২১ এ গিয়ে দাড়ায় মাত্র ২৪৯ কোটিতে। ফলে ঘরে বাইরে আবার চাপের মুখে অর্থমন্ত্রক।