অনেক কিছু যেমন সৌভাগ্যের কারণ হয়ে থাকে তেমনি ভুল উপায়ে ব্যাবহার সেই জিনিসই দুর্ভাগ্য নিয়ে আসে। তুলসী এমন একটি উদ্ভিদ যাকে লক্ষ্মীর রূপ মনে করা হয় এবং যে বাড়িতে তুলসী থাকে সেখানেই বিষ্ণুর স্ত্রী বাস করেন। এর পাশাপাশি ঘরে তুলসী গাছ রাখলে পবিত্রতা বজায় থাকে এবং নেতিবাচকতা দূর হয়। সেই সঙ্গে তুলসীরও ঔষধি গুণ রয়েছে। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, তুলসীকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয় এবং প্রতিটি বাড়িতে একটি তুলসি গাছ থাকা উচিত। ঘরে তুলসী গাছ রাখলে ক্লেশ দূর হয় এবং মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পরিবারে বর্ষিত হয়।
যে বাড়িতে তুলসীর পূজা করা হয় সেই বাড়িতে সুখ, সমৃদ্ধি এবং সৌভাগ্য বজায় থাকে। বাড়িতে তুলসী গাছ লাগানোর শ্রেষ্ঠ মাস হল কার্তিক। কিন্তু তুলসী গাছ লাগানোর সময় এই বিষয়গুলির যত্ন নেওয়া প্রয়োজন, তা না হলে তুলসি গাছ সৌভাগ্য নয়, দুর্ভাগ্যের কারণও হতে পারে।
তুলসী গাছ সবসময় উত্তর বা পূর্ব দিকে লাগাতে হবে, তা না হলে শারীরিক ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।
তুলসীকে বিষ্ণুর প্রিয় বলে মনে করা হয়েছে, যখনই তুলসীতে জল নিবেদন করা হয়, চুল বেঁধে নিন।
তুলসীর চারপাশে কোন ময়লা, পাদুকা, ঝাড়ু বা আবর্জনা রাখা উচিত নয়।
যে পাত্রে তুলসী গাছ লাগানো হয়েছে সেখানে অন্য কোনো গাছ লাগাবেন না।
তুলসীর চারপাশে কাঁটাযুক্ত গাছ লাগাবেন না।
তুলসীতে দুধের সাথে জল মিশিয়ে নিবেদন করলে তুলসী সবুজ থাকে।
তুলসী গাছ সবসময় উঠানে লাগাতে হবে, ছাদে রাখা উচিত নয়।
রান্নাঘরেও তুলসী গাছ লাগানো যেতে পারে, এর ফলে পরিবারে কলহ ও দুর্ভোগ দূর হয়।
ব্যবসায় ক্ষতি হলে দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে তুলসী রেখে প্রতি শুক্রবার সকালে কাঁচা দুধ অর্পণ করুন। এছাড়াও মিষ্টি নিবেদন করে বিবাহিত মহিলাকে মিষ্টি জিনিস দান করুন। এতে ব্যবসায় লাভ হবে।
বিয়ে করতে সমস্যা হলে তুলসীকে আগুনের কোণে রেখে প্রতিদিন জল নিবেদন করুন। এর সাথেই আপনার বিয়ে হয়ে যাবে।
পূর্বমুখী জানালার কাছে তুলসী গাছ রাখলে শিশুরা জেদি হলে তাদের জেদ বন্ধ হয়ে যায়।
শুধু তুলসী ভাঙ্গাই নয়, এটি লাগানো এবং পূজায় ব্যবহার করা নিয়েও অনেক বিশ্বাস রয়েছে। এই বাড়ির উঠানে অর্থাৎ মাঝখানে লাগাতে হবে।