‘শীতলকুচি ঘটনা ঘটেছে মমতার প্ররোচনায়’, থানায় এফআইআর দায়ের করে গ্রেপ্তারির দাবি বিজেপির
গেরুয়া শিবির কোচবিহারের কোতোয়ালি থানায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণের দিন কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু প্রসঙ্গ নিয়ে সরগরম রয়েছে গোটা বঙ্গ রাজনীতি। ঘটনা নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। দুই দলই ভোট যুদ্ধের ময়দানে শীতলকুচি ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের প্রচারে ঝড় তুলতে চায়। গতকাল আবার ঘটনা প্রসঙ্গ উস্কে দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃতদের পরিবারের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেখানে তৃণমূল অভিযোগ জানাচ্ছে যে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এবার তার পাল্টা বিজেপি এবার অভিযোগ জানিয়েছে যে গুলিচালনার পরিস্থিতি তৈরি করেছিল মুখ্যমন্ত্রী। তার মদতেই গুলি চালানোর জন্য বাধ্য হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এমনকি বিজেপি এই অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল কোচবিহারে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করেছে।
গতকাল গেরুয়া শিবির কোচবিহারের কোতোয়ালি থানায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। তাদের দাবি যে মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হোক। এই বিষয় নিয়ে কুচবিহারের বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি সিদ্দিকী আলী মিয়া বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রীর প্ররোচনাতেই গত চতুর্থ দফা নির্বাচনে কোচবিহারের শীতলকুচি ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তারা হাতে গৃহস্থলীর অস্ত্র নিয়ে বাহিনীর দিকে তেড়ে আসে। দ্রুত সিসিটিভি ফুটেজ বার করে ঘটনার তদন্ত করা হোক এবং মমতাকে গ্রেফতার করে ভোট প্রচার থেকে দূরে রাখা হোক।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শীতলকুচি ঘটনার পর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে গিয়ে মৃতদের পরিবারের সাথে দেখা করার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কড়া নির্দেশ দিয়েছিল যে শীতলকুচিতে সেই ৭২ ঘন্টা কোন রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রী প্রবেশ করতে পারবে না। আর তার ফলেই গতকাল সকালে ৭২ ঘন্টা শেষ হলে সেখানে মাথাভাঙ্গা হাসপাতালে গিয়ে আহত এবং নিহতদের পরিবারের সাথে কথা বলেন তিনি।