কলকাতা: বহুতলে ভয়াবহ আগুন। গোটা এলাকায় তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ ২১ নম্বর গনেশ চন্দ্র এভিনিউয়ের আটতলা বিল্ডিংয়ে ভয়াবহ আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছালে কোনভাবেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছিল না প্রথমদিকে। পরবর্তীকালে মধ্যরাতে আরও দমকলের দশটি ইঞ্জিন পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। আজ, শনিবার সকাল পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেক কসরত করতে হয় দমকলকর্মীদের। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে বহুতএর বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেয় এক কিশোর। তাকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। দমকলকর্মী, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকরা এবং স্থানীয় এলাকার বাসিন্দাদের সহায়তায় আজ সকাল সাতটা পর্যন্ত আগুন নেভানোর কাজ চলে। স্থানীয় বাসিন্দারা বহুতলে থাকা মানুষজনদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়।
অনেক কষ্ট করে আগুন নেভানোর পর যখন দমকলকর্মীরা চলে যান, তখন আজ সকাল দশটা নাগাদ ফের বহুতলের ছ’তলা থেকে গল গল করে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখে স্থানীয় এলাকার মানুষজন। ফের দমকল কর্মীদের খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যে পৌঁছেছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকরা এবং দমকলকর্মীরা।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মিটার বক্স থেকে শর্ট সার্কিট হয়ে আগুন লেগেছে। বহুতলের একদম নিচে যে মিটার ঘর ছিল, তার সামনে বেশ কয়েকটি মোটরবাইক রাখা ছিল। শর্ট সার্কিটের ফলে মোটর বাইকগুলো কার্যত অগ্নিদগ্ধ হয়ে যায়। তারপর একতলা থেকে আটতলা পর্যন্ত যে কেবিল তার বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য বাড়িটির মধ্যে রাখাছিল, সেগুলি তে আগুন ধরে দ্রুততার সঙ্গে বহুতলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত ফরেনসিক রিপোর্ট আসেনি। বহুতলের মানুষজন গতকাল রাত থেকেই রাস্তায় রয়েছে। বহুতল পুরোপুরি বিপদমুক্ত না হলে কলকাতা পুলিশ কাউকেই ভেতরে প্রবেশ করতে দেবে না বলে জানা গিয়েছে। বহুতলের সামনের গোটা এলাকা কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে গোটা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে, এমনটা বলাই যায়।