করোনা ভাইরাস প্যানডেমিক ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বের চলমানতাকে ভঙ্গ করেছে। তবে আশার আলো হিসেবে বিভিন্ন দেশের ভ্যাকসিন ট্রায়াল পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। এরই মধ্যে ভারত বায়োটেকের তৈরি কো ভ্যাকসিন চূড়ান্ত ট্রায়াল পর্যায়ে আছে। ইতিমধ্যেই বাংলার নাইসেডে ভারত বায়োটেক পরীক্ষার জন্য ১ হাজার কো ভ্যাকসিন পাঠিয়ে দিয়েছে। নাইসেড থেকে কো ভ্যাকসিনের ট্রায়াল নেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। সেই আবেদনে আবার সাড়া দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। কলকাতায় প্রথম ব্যক্তি হিসাবে ২ ডিসেম্বর করোনা টিকা নেবেন তিনি।
অন্যদিকে নাইসেডের শান্তা দত্ত জানিয়েছে, দেশজুড়ে এখন থার্ড ফেসের ট্রায়াল চলছে। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন এই সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গোটা দেশে মোট ২৪ টি সংস্থা এই ট্রায়াল করার অনুমতি পেয়েছে। তার মধ্যে একটা হল নাইসেড। এই ফেসে ১০০০ জন স্বেচ্ছাসেবককে এই টিকা দেওয়া হবে। তাদের ২৮ দিনের ব্যবধানে দুটি ডোজ দেওয়া হবে। গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ২১ ফেব্রুয়ারি অব্দি সময় লেগে যাবে।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই নাইসেডে ভারত বায়োটেক থেকে কো ভ্যাকসিন এসে পৌঁছেছে। পরীক্ষা মূলক কাজের জন্য এই মুহূর্তে ১০০০ ডোজ হায়দ্রাবাদ থেকে শহরে আনা হয়েছে। মোট ১০০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল হবে। ভ্যাকসিন গুলিকে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে -৪° তাপমাত্রাতে। ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই শুরু হয়ে যাবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল।
২ ডিসেম্বর বিকেল ৪ টেয় বেলেঘাটা নাইসেড থেকে টিকা দেওয়া হবে ফিরহাদ হাকিমকে। ৬০ বছরের ফিরহাদ হাকিমের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। তার নিত্যদিনের সামান্য পেটের সমস্যা আছে। কিন্তু সেইক্ষেত্রে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা হবে না বলেই মনে করছেন চিকিৎসক রা। বেলেঘাটা নাইসেডের তরফে জানানো হয়েছে, কো ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের জন্য বিভিন্ন শহরের মেয়রদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেকেই ঝুঁকির কথা ভেবে টিকা নিতে রাজি হইনি। তবে ফিরহাদ হাকিম এক কথাতেই সেচ্ছাসেবক হতে তৈরি।