শুক্রবার পুলওয়ামা হামলা কাণ্ডের এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) বা জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।পুলওয়ামা জেলার কাকাপোরার মহকুমার অন্তর্গত হাজিবাল অঞ্চলের বাসিন্দা শাকির বশির মাগ্রে জইশ-ই-মহম্মদ (জেইএম)-এর ওভার-গ্রাউন্ড ওয়ার্কার(ওজিডব্লিউ) হিসেবে কাজ করত। ধৃতকে ১৫ দিনের এনআইএ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। হামলায় আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল ছাড়াও ওই হামলায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকা যারা নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে যারা নিহত হয়েছে তারা হল দক্ষিণ কাশ্মীরের জইশের ডিভিসনাল কমান্ডার মুদাসির আহমেদ খান, পাক জঙ্গি মহম্মদ উমর ফারুখ ও আইইডি বিশেষজ্ঞ কমরান, গাড়ির মালিক সজ্জাদ আহমেদ ভট্ট, জইশের কাশ্মীর কমান্ডার কারি ইয়াসির।
ফার্নিচার ব্যবসায়ী শাকিরের দোকান লেথপোরা সেতুর কাছে। উমরের নির্দেশে সে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাস থেকে জম্মু-কাশ্মীর সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা সিআরপিএফ-এর কনভয়ের ওপর নজর রেখে সেই তথ্য সে আদিল ও উমরকে দিত। আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল আহমেদ দারকে সে আশ্রয় দেয়, তার সমস্ত ধরনের প্রয়োজন মেটায় এমন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন : জিডিপিতে বড় পতন, বৃদ্ধির হার কমে দাঁড়াল ৪.৭ শতাংশে
শাকির স্বীকার করেছে, পুলওয়ামা হামলায় জড়িত জঙ্গিদের সঙ্গে অস্ত্র, গোলাবারুদ, নগদ ও বিস্ফোরকের আদান-প্রদান করেছে অনেকবার। ২০১৮ সালের শেষ থেকে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত সে আদিল ও উমর ফারুখকে তার বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোজিভ ডিভাইস (আইইডি) তৈরি করতেও সাহায্য করেছিল। হামলায় ব্যবহৃত গাড়ি মারুতি ইকোর কথা বিস্ফোরণে যে ব্যবহার করা হয়েছিল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, নাইট্রো-গ্লিসারিন, ও আরডিএক্স সেকথা জেরায় স্বীকার করছে শাকিব।