বিয়ে করে স্ত্রীর সঙ্গে বহুদিন ধরে ছিল না বনিবনা। প্রায় দেড় বছর ধরে দেখা সাক্ষাৎ নেই দুজনের মধ্যে। তার মধ্যেই আদালতে চলছে মামলা বিবাহ বিচ্ছেদের। সব মিলিয়ে অত্যন্ত বিরক্ত স্বামী। তার মধ্যেই আবার স্ত্রী অন্যত্র বিয়ে করেছেন। খবর পেয়ে প্রথম স্বামী ছুটে গেলেন স্ত্রীরদ্বিতীয় শ্বশুরবাড়িতে। সেখানে গিয়ে রাস্তায় ধরনায় বসেছেন যুবক। পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা শহরে এই ঘটনায় ছড়িয়েছে রীতিমতো চাঞ্চল্য।
মঙ্গলকোটের ষড়ঙ্গপুরের বাসিন্দা অনির্বাণ বিশ্বাস এর সঙ্গে ভাতারের রামচন্দ্রপুরের সঙ্গীতা ঘোষ এর বহুদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বছর দুই আগে তারা আবার পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু তারপর থেকেই দুজনের মধ্যে শুরু হয় সমস্যা। বাড়ি থেকে অনেকবার ফিরে আসার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তারা দুজনে নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন। তারা আলাদা করে ঘর বাঁধতে চেয়ে ছিলেন।
কিন্তু বিয়ের মাত্র তিন মাস পেরোতে না পেরোতেই শুরু হলো অশান্তি। সঙ্গীতা বেশ কয়েকদিন বাপের বাড়িতে ছিলেন। তার সঙ্গেই অনির্বাণ এর বিরুদ্ধে সঙ্গীতা বধূ নির্যাতনের মামলা করেছিলেন। পাল্টা অনির্বাণ মামলা করেছিলেন সঙ্গীতার বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন হয়ে গেলো দুজনের মধ্যে কোন কথাবার্তা নেই মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত নেই। আদালতে বর্তমানে মামলা চলছে তাদের দুজনের। যদি নির্দেশ দেওয়া হয় তাহলে বিবাহবিচ্ছেদ হবে।
কিন্তু তার মধ্যেই আবার বুধবার গুসকরা শহরের শান্তি পুরের বাসিন্দা দীপক মন্ডল এর সাথে বিয়ে হয় সঙ্গীতার। দীপক পেশায় ব্যবসায়ী এবং সে নিজেও ডিভোর্সি। বুধবার দুজনের বিয়ে হবার পরেই বৃহস্পতিবার আবার দীপকের বাড়ির সামনে ধরনা দিতে বসে পড়ে অনির্বাণ। তার হাতে একটি প্ল্যাকার্ড যাতে লেখা, ” সঙ্গীতা তোমায় খুব ভালোবাসি তুমি ফিরে চলো। ” নতুন বউয়ের প্রাক্তন স্বামীর এই অদ্ভুত কীর্তি দেখে লোক জড়ো হয়ে যায় এলাকায়। কিন্তু, অনির্বাণ এর পক্ষে বিষয়টি খুব একটা সুবিধাজনক হয়নি। সঙ্গীতা সরাসরি তাকে জানিয়ে দেয়, “আমি নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছি। তুই পারলে অন্য কোথাও বিয়ে করে নে।” অগত্যা এই কথা শুনে মনের দুঃখে ফিরে যান অনির্বান। কিন্তু, এতকিছুর পরেও তাদের মামলা চলছে। এখনো পর্যন্ত বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি কিন্তু তারমধ্যেই সঙ্গীতা বিয়ে করেছেন নতুন। সঙ্গীতা নতুন সংসার কি সুখের হবে? প্রশ্ন অনেকের মনেই।