গোয়া: শেষ মুহূর্তে ফিনিক্সের মতো কামব্যাক করেছে ইস্টবেঙ্গল। নিভে যাওয়া মশাল শেষ মুহূর্তে দাউদাউ করে জ্বলে উঠেছে। খুলে গিয়েছে আইএসএলের দরজা। আইএসএলে পা রেখেছে ইস্টবেঙ্গল। যদিও এখনও পর্যন্ত একটাও ম্যাচ খেলা হয়নি। আজ অভিষেক ঘটতে চলেছে এসসি ইস্টবেঙ্গলের। যদিও এই অভিষেক ম্যাচেই প্রথম ডার্বি খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল এবং এটিকে-মোহনবাগান। যদিও এটিকে-মোহনবাগান ম্যাচ খেলে কেরালা ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের টগবগ করে ফুটছে। তবুও কিছুটা পিছিয়ে থাকা ইস্টবেঙ্গল কিন্তু যখন তখন যা কিছু করে দিতে পারে, এমনটাই দাবি করেছে সমর্থকরা। আর মাত্র কিছুক্ষণের অপেক্ষা। তারপরেই কলকাতা ক্লাসিকো বসবে গোয়ার সাগর পাড়ে।
শেষ মুহূর্তে স্পনসর পাওয়ায় আইএসএললের জন্য নিজেদের গুছিয়ে নিতে খুব একটা সময় পায়নি ইস্টবেঙ্গল। এমনকি বিদেশি ফুটবলারদের নিয়েও সেভাবে প্রাক্টিস হয়নি। কিন্তু তাতে কী? যে কোনও সময়ে মশাল জ্বলে উঠতে পারে। গোয়ার সমুদ্র সৈকতে কে বলতে পারে হয়তো ২১ বছর পর হওয়া ডার্বি এক নতুন ইতিহাস লিখে দেবে। তবে যাই বলুন না কেন, ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে যে স্পিরিট আছে, তা কিন্তু এটিকে-মোহনবাগানের ক্ষেত্রে একইভাবে অপরিহার্য। বরং, একটু বেশি আছে বলে দাবি করেছেন এটিকে-মোহনবাগান কোচ হাবাস।
তবে শুধু হাবাসের নাম বললে ভুল বলা হবে। এর পাশাপাশি এটিকে-মোহনবাগান কর্ণধার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও একই সুরে সুর মিলিয়েছেন। তিনি আইএসএল শুরু হওয়ার আগে থেকেই বলেছিলেন, এটিকে-মোহনবাগানের শক্তি ডবল। তাই যে কোনও দলের কাছে তা হতে পারে ডবল ট্রাবল। আর সেটাই হয় কিনা, তা আজ, শুক্রবারের ডার্বিতে প্রমাণিত হবে। এই দিনে ঘটি-বাঙালের উত্তেজনার পারদ ইতিমধ্যেই চড়েছে। সবার কাছেই এখন পাখির চোখ টিভির পর্দা এবং সেখানে কী ফল হয় সেদিকে মুখিয়ে রয়েছে সকলে। দুই দলের সমর্থকদের মধ্যেই প্রার্থনা যেন জিতে যায় নিজের প্রিয় দল। এখন কী হয়, সেটাই দেখার।