আন্তর্জাতিকনিউজ

মেরু প্রদেশের বরফ গলছে, খুব শীঘ্রই জলের তলায় চলে যেতে পারে এই দেশগুলি

একদিনে যতটা বরফ করে গিয়েছে তাতে কিন্তু ফ্লোরিডার মত একটা দেশ সম্পূর্ণরূপে জলের তলায় চলে যেতে পারে। পাশাপাশি এভাবেই চলতে থাকলে ভারতের ওপরেও জলস্তর এর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।

Advertisement

আবারো মেরু বলয়ের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা মনে করছেন গ্রিনল্যান্ডে একদিনে যেরকম ভাবে বরফ গলছে তাতে খুব তাড়াতাড়ি বেশ কিছু দেশ ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে পুরোপুরি। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, একদিনের মধ্যে গ্রিনল্যান্ডে ২২ গিগাটন বা ১০০ মেট্রিক টন বরফ গলছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন এই পরিমান জল একটা গোটা দেশকে ঢেকে দিতে পারে। খুব তাড়াতাড়িই জল আবার ফ্লোরিডার সামনাসামনি চলে আসতে পারে। যদি তা হয় তাহলে ফ্লোরিডা অন্তত ২ ইঞ্চি জলের তলায় চলে যাবে।

সেই ১৯৫০ সালে বরফ গলে জল হয়েছিল গ্রিনল্যান্ডে। সেই বছরেই জাতীয় ক্ষতি হয়েছিল তার কথা তো অনেকেরই মনে আছে। তারপরে ২০১২ এবং ২০১৯ সালে চোখে পড়ার মত বরফ গলন হয়েছিল। তারপরেই আবার ২০২১, করে রীতিমতো চিন্তিত হয়ে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা। শুধুমাত্র যে ফ্লোরিডা ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা কিন্তু নয়, ভারত সহ বিশ্বের সবকটি দেশ কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এই জলস্তর বৃদ্ধিতে।

বেলজিয়ামের লিয়েজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেভিয়ার ফিটাউস জানিয়েছেন, ২২ গিগাটন বরফ গলে পড়েছে। ইতিমধ্যেই তার মধ্যে ১২ গিগাটন বড় সমুদ্রে গলে গেছে। বাকিটা আপাতত স্থানীয় তুষারপাতের আকারে জমাট বেঁধে রয়েছে। ডেনমার্কের জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বুধবার থেকে তাপমাত্রা অনেকটা উপরের দিকে চলে গিয়েছিল এই সমস্ত জায়গার। তার পরেই হঠাৎ করে এই বরফ গলন শুরু হয়। সেই ১৯৫০ সালের পর এই নিয়ে তৃতীয় বার সর্বোচ্চ ক্ষতি হলো গ্রীনল্যান্ডের বরফ গলনের পর। তাপমাত্রা যদি না কমে তাহলে আগামী দিনে এই বরফ গলন আরো ক্ষতিকারক হতে পারে সারা বিশ্বের জন্য।

বরফ গলনের পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নে দ্বারা তোলা যে চিত্র সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে বরফের চাদরের তলায় থেকে মাটি বেরিয়ে আসছে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে সেই সমস্ত জায়গার বরফ সম্পূর্ণরূপে গলে গিয়েছে। এই বিষয়টি কোনোভাবেই পরিবেশের পক্ষে খুব একটা ভাল নয় কারণ আন্টার্টিকা এবং গ্রীনল্যান্ডের বরফ যদি গলে তাহলে বিশ্বের একটা বিরাট অংশ জলের তলায় চলে যেতে পারে। এই তালিকায় অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত হতে পারে ভারত, কারণ ভারতের তিনদিকটাই সমুদ্র দিয়ে ঘেরা।

Related Articles

Back to top button