ভয়ংকর বিক্ষোভ হোয়াইট হাউসের সামনে, পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যবহার কাঁদানে গ্যাসের
টানা ছয়দিনের বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শ্বেতাঙ্গ পুলিশের অত্যাচারে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ফলে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই কারণের জন্য রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাসভবন হোয়াইট হাউজের সামনে জড়ো হয় বিক্ষোভকারীরা।
জানা গিয়েছে, পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হয় কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের। যার ফলে মিনেসোটা, নিউইয়র্ক এবং আটলান্টায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয় বিক্ষোভকারীদের। অন্যদিকে লস অ্যাঞ্জেলস থেকে শুরু করে নিউইয়র্কে শুরুর দিকে শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের দাবি তুললেও পরিস্থিতি পরে আরও খারাপের দিকে যায়। শুধু তাই নয় সিএনএন-এর প্রধান কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
এরপর গত রবিবার হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ করলে পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাসের শেল এবং ফ্ল্যাশ ব্যাং ডিভাইস ব্যবহার করে আমেরিকার পুলিশ। এই ঘটনায় রীতিমতো স্তম্ভিত গোটা বিশ্ব। বেগতিক অবস্থা দেখে ওয়াশিংটনে কারফিউ জারি করে মার্কিন প্রশাসন।
এই বিষয়ে মিনেসোটার ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক সেফটির কমিশনার জন হ্যারিংটন বলেন, “গত ২৫শে মে সোমবার হ্যান্ডকাফ পরা ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে কমপক্ষে পাঁচ মিনিট চেপে ধরে থাকেন ডেরেক শভিন নামের শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা। এই অত্যাচারের ভিডিও রেকর্ড করেন পথচারীরা। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই বিক্ষোভ শুরু হয়।”