নয়াদিল্লি: একে তো করোনা পরিস্থিতি, তার ওপর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, কার্যত নাজেহাল করে রেখেছে আমজনতার দৈনন্দিন জীবন। দীর্ঘদিন লকডাউন হওয়ার কারণে দেশের অধিকাংশ মানুষ আজ কর্মহারা। দু’বেলা দু’মুঠো অন্নের যোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দেশবাসীকে। এমন সময়ে বাজার দর প্রায় আগুন। মাঝেমধ্যেই বেলাগাম হয়ে যাচ্ছে পেঁয়াজের দাম। কেজি প্রতি পৌঁছে যাচ্ছে ১০০ টাকায়। পেঁয়াজ কাটার সময় নয়, বরং ইদানীংকালে পেঁয়াজ কেনার সময় চোখে জল আসছে মধ্যবিত্তের। আর এবার পেঁয়াজের এই বেলাগাম দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইছে সরকার। যাতে মধ্যবিত্তের আর হাঁসফাস অবস্থা না হয়! আর সেই জন্য সরকার নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে।
এক সংবাদ সংস্থা পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সরকার এবার পেঁয়াজের বাফার স্টক এক লাখ থেকে বাড়িয়ে দেড় লাখ টন করার পরিকল্পনা করছে। যার ফলে বছরের কোনও সময়ই দেশের বাজারে পেঁয়াজের অভাব হবে না। দামও কেজি প্রতি ১০০ টাকায় পৌঁছবে না বলে দাবি করা হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে একমাত্র বাফার স্টক বাড়ালেই সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে মনে করছেন সরকারি আধিকারিকরা। যে মুহূর্তে পেঁয়াজের অভাব দেখা দেবে, তখনই বাজারে বাফার স্টক পৌঁছে দেওয়া হবে। চলতি বছরে বাজারে পেঁয়াজের অভাব দেখা দিয়েছিল। ফলে আফগানিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয় ভারতকে। পুনরায় এরকম পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সরকার চাইছে, চাহিদা মতো দেশেই উতপন্ন হোক পেঁয়াজ। যাতে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে না হয়।