গত বছরের ডিসেম্বরেই চিনের উহানে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবর সামনে আসে। তবে মে মাসে করোনা সংক্রমণের বিষয়ে নানা তথ্য সম্প্রচারের কারণে সোমবার মামলার মুখে পড়লেন উহানের এক সাংবাদিক। ঝ্যাং ঝান নিজে একজন আইনজীবী। সোশ্যাল মাধ্যমকে হাতিয়ার করে নাগরিক সাংবাদিকতার দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তিনি।
করোনা সংক্রমণের প্রাথমিক ধাপেই জনসাধারণের মধ্যে ‘অশান্তি ও আতঙ্কের’ বাতাবরণ তৈরির করার কারণে ওই নাগরিক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে, সোমবার সকালে সাংহাই পুডং নিউ জেলা গণ আদালতের বাইরে বহু সমর্থক ও কূটনীতিকরা জড়ো হন। যদিও পুলিশ তাঁদের ঠেলে সরিয়ে দেয়।
ঝ্যাংয়ের উকিল রেন কোয়ানিউয়ের মতে, চিন সরকারের তথ্য গোপনের বিরুদ্ধে জুন মাস থেকেই অনশন শুরু করেন ৩৭ বছরের ঝ্যাং। যদিও নাকে পাইপ প্রবেশ করিয়ে বলপূর্বক তাঁকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে প্রশাসন। রেন জানান, কারাদণ্ডের শাস্তি দিলে ঝ্যাং অনশন চালিয়ে যাবেন। তিনি বলেন, ‘আমি যখন তাঁকে গত সপ্তাহে দেখতে গিয়েছিলাম তখন তিনি বলেছিলেন যদি তারা আমাকে একটি শাস্তি দেয় তবে আমি শেষ অবধি খাবার খাওয়া প্রত্যাখ্যান করব।’
উল্লেখ্য, উহানে হু-এর বিশেষ পরিদর্শকদল আসার মাত্র একসপ্তাহ আগেই এমন ট্রায়াল শুরু করল চিন, যাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। এদিকে ক্রমেই স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে ঝ্যাং-এর এমনটাই জানান হয়েছে। যদিও অনশন তিনি জারি রাখবেন, তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। তিনিই প্রথম যিনি শি জিনপিংইয়ের সরকারের বিরুদ্ধে লিখেছিলেন, ‘দেশের লোকেদের পর্যাপ্ত তথ্য না দিয়ে লকডাউন করে রেখেছে।’