কলকাতা: ১ ডিসেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গে চালু হয়েছে রাজ্য সরকারের দুয়ারে দুয়ারে সরকার প্রকল্প, চলবে ৩০ জুনুয়ারি পর্যন্ত। মোট চারটি ধাপে রাজ্যের সাধারণ মানুষের কাছে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে।
রাজ্য জুড়ে ২০ হাজার ক্যাম্পের সাহায্যে এই প্রচার কর্মসূচি চলছে। এই ক্যাম্পগুলিতে উপস্থিত থাকছেন রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকরা। শিক্ষাশ্রী, ঐক্যশ্রী, খাদ্যসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, জয় জোহারের মতো প্রকল্পেও আবেদন করা যাবে এই ক্যাম্পগুলি থেকে। এছাড়াও রেশন কার্ডে নাম-ঠিকানা পরিবর্তন, ১০০ দিনের কাজের জব কার্ড, অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের জাতিগত শংসাপত্র, এসব কিছুই পাওয়া যাবে এই ক্যাম্পগুলি থেকে। হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে এই সমস্ত প্রকল্পের সাহায্যে রাজ্যের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাইছে সরকার।
কিন্তু এত কিছুর পরও এ রাজ্যে কর্মসংস্থান নিয়ে পরিস্থিতিটা বদলাচ্ছে না। রাজ্যে বাড়তে থাকা বেকারত্বের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বেড়ে চলেছে। অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা ‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’র (CMIE) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কর্মসংস্থানে বিহার, ঝাড়খণ্ডের চেয়েও পিছনে রয়েছে বাংলা। বেকারত্বের হারে দেশের ছয় নম্বরে রয়েছে এ রাজ্য।
‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’র (CMIE) থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাওয়া হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের বেকারত্বের হার ৯.৩ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। রাজ্যুগুলির মধ্যে হরিয়ানায় বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি, ২৫.৬ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গের বেকারত্বের হার বর্তমানে ১১.২ শতাংশ যেখানে প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে বেকারত্বের হার ১০ শতাংশ, ঝাড়খণ্ডে ৯.৬ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গের আর এক প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরায় অবশ্য বেকারত্বের হার বর্তমানে ১৩.১ শতাংশ। তবে ওড়িশায় বেকারত্বের হার মাত্র ১.৭ শতাংশ।
বেকারত্বের হারে পশ্চিমবঙ্গের থেকে উপরে থাকা পাঁচ রাজ্য হল, হরিয়ানা (২৫.৬ শতাংশ), রাজস্থান (১৮.৬ শতাংশ), গোয়া (১৫.৯ শতাংশ), হিমাচল প্রদেশ (১৩.৮ শতাংশ) এবং ত্রিপুরা (১৩.১ শতাংশ)। রাজ্যের মানুষকে স্বনির্ভর করে তোলার জন্য একাধিক সরকারি প্রকল্পের ঘোষণা হলেও নতুন কর্মসংস্থানের অভাবে বাংলার অধিকাংশ তরুণ ভিন রাজ্যে যেতে চাইছে পছন্দসই পেশা ও রুজির নিশ্চয়তার খোঁজে।