সিবিআই জেরার মুখে উঠে এসেছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য, উঠে এসেছে বিভিন্ন মাদক পাচারকারী মাফিয়াদের নাম। ইতিমধ্যে সিবিআই তাঁদের নিজেরদের কাস্টডিতে তিন জন মাদক মাফিয়াকে নিয়েছেন। আটক করেছেন স্যামুয়েল মিরান্ডাকেও। রিয়া চক্রবর্তীর ভাই সৌভিকের সঙ্গে আর কার কার যোগাযোগ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে মুম্বাই পুলিশ ও এনসিবি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সৌভিক ও রিয়া চক্রবর্তীর সমস্ত ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস। সন্দেহের দানা বাঁধে রিয়া ও সৌভিকের কিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকেই। এরপরে জেরা করা হয় সুশান্তের সানিধ্যে থাকা সবাইকে, এমনকি বাদ যাননি রিয়ার অভিভাবকেরাও।
ঠিক এরই নাঝে সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রুতি মোদি দাবি করেন, “রিয়া-সুশান্ত একসঙ্গে বসেই গাঁজা খেতেন”। সিবিআই জেরায় শ্রুতি জানান, তিনি নিজের চোখে সুশান্ত ও রিয়াকে একধিকবার বাড়ির ছাদে বসে একসঙ্গে গাঁজা খেতে দেখেছেন! এমনকি শ্রুতি এও জানান যে কেবল সুশান্ত আর রিয়াই নন, তাঁদের সঙ্গে গাঁজা খেতেন রিয়ার ভাই সৌভিক চক্রবর্তী ও সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা-ও!
অথচ রিয়া চক্রবর্তী একাধিক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে জানান যে তিনি কোনওদিনই মাদক নেননি! এও বলেন, তিনি রক্তপরীক্ষা করাতেও রাজি! রিয়ার এহেন মন্তব্যে তাঁর আইনজীবীও পরিস্কার জানান যে তাঁর ক্লাইন্ট কখনো গাঁজা বা মারিজুয়ানার মত নিষিদ্ধ মাদক সেবন করেননি।
তবে, রিয়ার এমন মনগড়া বক্তব্যে সুশান্ত অনুরাগীরা পাল্টা অভিযোগ এনেছেন, তাঁদের একাংশের বক্তব্য- রিয়া জেনেবুঝেই রক্ত পরীক্ষার কথা বলেছিলেন, কারণ তিনি ভাল করেই জানতেন, রক্তে খুব বেশিদিন ড্রাগ-এর নমুনা স্থায়ী হয় না! রিয়া এও জানান, তিনি মাদক না নিলেও, সুশান্ত গাঁজা খেতেন! তিনি নাকি বারবার চেষ্টা করেছেন সুশান্তকে গাঁজার নেশা থেকে দূরে রাখার।