একেবারে মহামারীর শুরুর পর্যায় থেকে আজ পর্যন্ত গোটা দেশের মানুষের স্বার্থে কেন্দ্র এবং রাজ্য যৌথ উদ্যোগে চালু করেছে বিনামূল্যে রেশন দেবার ব্যবস্থা। অর্থাৎ এতদিন পর্যন্ত আপনি কোন পয়সা-কড়ি খরচ না করেই বিনামূল্যে রেশন পেয়ে যেতেন রেশন দোকান থেকে। তবে এবার থেকে চাল গম আটা, আর আপনি পাবেন না ফ্রিতে। এবারে ফ্রিতে খাদ্য দ্রব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে ইতি টানতে চলেছে সরকার। ফলে এবার থেকে সরকারিভাবে বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট মূল্য দিয়ে আপনাকে রেশন থেকে চাল, গম এবং আটার মতো নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে হবে।
সম্প্রতি এ বিষয়ে সরকারি তরফে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই এক প্রস্থ আলাপ-আলোচনা হয়ে গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে যে কথাটি না বললেই নয়, এতদিন অর্থাৎ গত দুবছর যাবত রাজ্য সরকার মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকারের পূর্ণ সহযোগিতায় এক ধাপ এগিয়ে রাজ্যের প্রত্যেকটি মানুষের জন্য খাদ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের প্রত্যেকটি মানুষের কাছে বিনামূল্যে রেশন ব্যবস্থা চালু করেছিল। তবে এবার হয়তো বিনামূল্যের দিন শেষ। সরকারের ব্যয়ের একটা সর্বাধিক সীমা থাকে। সেই দিকে এবারে বিশেষ নজর দিয়ে গ্রাহকদের জন্য স্বল্পমূল্যে রেশন ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে প্রতিটি রাজ্যের সরকার।
এ বিষয়ে খাদ্য দপ্তরের একজন আধিকারিক জানাচ্ছেন, বিশেষ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই মাস থেকেই বিনামূল্যে রেশন ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে তুলে দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। এবার থেকে আপনাকে প্রতি কেজি চালের জন্য খরচ করতে হবে তিন টাকা, প্রতি কেজি গমের জন্য খরচ করতে হবে ২ টাকা করে। পাশাপাশি ওই আধিকারিক আরো জানিয়েছেন, চলতি মাসের রেশনে গ্রাহকের ছোলা তেল এবং লবণ দেওয়া হবে। তবে এই খাদ্যপূর্ণ ধারাবাহিকভাবে চালানো হবে কিনা সে বিষয়ে এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট কোন নির্দেশিকা আসেনি।
গত দু’বছর যেরকম ভাবে মহামারী চলেছিল সেই সময় ভারতের প্রত্যেকটি মানুষের আর্থিক অবস্থা ছিল অত্যন্ত বিপন্ন। তবে এরপর থেকে ভারতীয় অর্থনীতি অনেকটাই অগ্রগতি করেছে এবং সকলের হাতেই এসেছে টাকা। তাই হয়তো রেশন ব্যবস্থার এই নতুন নিয়ম সবাই মেনে নিতে পারবেন এবং সকলেই আবারো নতুনভাবে রেশন ব্যবস্থাকে সচল করে রাখতে পারবেন।